সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

মেয়াদ শেষের ২ বছরেও হয়নি সোনারগাঁও পৌরসভার নির্বাচন : সেবাবঞ্চিত নাগরিকরা, স্থবির উন্নয়ন কাজ

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আবদুস ছাত্তার, সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : সোনারগাঁও উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভায় দুই বছর ধরে নির্বাচন হয় না। সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচন ঝুলে আছে বলে জানা গেছে। আর নির্বাচিত পৌর পারিষদ না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে উন্নয়ন কাজ। নাগরিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা থেকে। ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন পৌর এলাকায় বসবাসরত মানুষ। এ কারণে পৌরবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা যুব আইনজীবী পরিষদের সভাপতি মো. ফজলে রাব্বি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাদেকুর রহমান কাছে। ফজলে রাব্বী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবুর ভগ্নিপতি। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ড ও তিনটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। এর ১৫ মাস পর পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে পৌরসভা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
২০২২ সালের ১৬ মে প্রশাসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছানোর পর পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহী। তিনি সোনারগাঁও থেকে বদলি হয়ে যাওয়ার পর বর্তমান নির্বাহী অফিসার রেজওয়ান-উল-ইসলাম পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছন। বর্তমানে সোনারগাঁও পৌরসভায় নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি না থাকায় সব ধরনের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌরবাসী। স্থানীয় বিচার-শালিস, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়ন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে পৌরসভার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নানা সমস্যা থাকলেও সেগুলো নিরসনে বর্তমানে কোনো উদ্যোগ নেই। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা কেউ দায়িত্বে না থাকায় এসব উন্নয়ন কাজ এখন বন্ধ হয়ে আছে।
জানা গেছে, সোনারগাঁও পৌরসভার ছোট শীলমান্দি ও মল্লিকপাড়া মৌজার কিছু জমি মেঘনা ইকোনমিক জোনের জন্য কর্তন করে পার্শ্ববর্তী মোগরাপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয়। পরে তৎকালীন পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান উচ্চ আদালতে রিট করেন। এ রিট নিষ্পত্তি না হওয়ায় পৌর পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নির্বাচন ঝুলে রয়েছে।
সোনারগাঁও পৌরসভার সচিব মাশরেকুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, পৌরসভা নির্বাচনের ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ অনুুযায়ী কাজ করছেন। এর বেশি কিছু আমাদের জানানো হয়নি।
এদিকে সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম গত ৪ এপ্রিল পৌরসভার ওয়ার্ড বিভক্তি ও সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
এতে কোনো আপত্তি-অভিযোগ ও পরামর্শ থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাবর দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়। পরে পৌরসভার ওয়ার্ড বিভক্তি ও সীমানা পুনর্বিন্যাসের কোনো অভিযোগ না থাকায় একটি প্রতিবেদন লিখে জেলা প্রশাসকের বরাবরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম বলেন, বর্তমানে পৌরসভার সীমানা নির্ধারণের কোনো জটিলতা নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়