সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

মহাদেবপুর : অর্ধেকে থমকে আছে পানি সরবরাহের ১৮ প্রকল্প

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম কুমার মহন্ত, মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে : নওগাঁর মহাদেবপুরে পানি সরবরাহের ১৮ প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজ অদৃশ্য কারণে থমকে আছে। প্রকল্প শুরুর দুবছর পার হলেও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ গতবছরই এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এক বছর সময় বাড়িয়েও তেমন কোনো কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কমিউনিটি বেসড ওয়াটার সাপ্লাইয়ের আওতায় সারাদেশে পানি সরবরাহ করতে একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৫ সালে এটি শেষ হবে। এর আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ১৮টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রতিটির জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই প্রকল্পগুলোর আওতায় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাবমার্সিবল পাম্প বসানো, উঁচু ট্যাংকি স্থাপন, প্লাম্বিং করে প্রতিষ্ঠানে পানি সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপন, হাউস ওয়্যারিং, ট্যাপ বেসিন প্রভৃতি স্থাপন করে পানি সরবরাহ চালু করতে হবে।
মহাদেবপুর উপজেলায় এই প্রকল্পগুলোর আওতায় কাজটি পান টাঙ্গাইলের মেসার্স সাখাওয়াত হোসেন জয়। গত বছর ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গত বছর পর্যন্ত মাত্র ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর করোনাকালীন বিশেষ ছাড় দিয়ে প্রকল্পটি শেষ করতে আরো এক বছর সময় দেয়া হয়। কিন্তু সময় বাড়ানোর মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ কাজ করা হয়। বর্তমানে অর্ধেকে থমকে আছে প্রকল্পগুলোর কাজ। আগামী ৩০ জুন শেষ হবে দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানো সময়। এই সময়ের মধ্যে কোনোক্রমেই প্রকল্পগুলোর কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। সরজমিন মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ওই প্রকল্পের আওতায় সেখানে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোসহ পানির ট্যাংকি রাখার উঁচু স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশিদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি চালু হলে হাসপাতালের রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সহজ হবে। কিন্তু প্রকল্পটি আদৌ চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের হোসেনপুর মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানের প্রকল্পটিরও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৮টি প্রকল্পই একই অবস্থায় থমকে আছে। তবে মোবাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।
মহাদেবপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আল হাসিব পরাগ জানান, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে জামানত বাজেয়াপ্ত, কালো তালিকাভুক্ত করাসহ আরো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই কথা জানান, এই অধিদপ্তরের নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়