সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চাই সার্কুলার ইকোনমির বিকাশ : ঢাকায় ইকোনমি সামিটে বক্তারা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যতদিন সম্ভব সম্পদ ব্যবহার করতে বাংলাদেশকে ট্র্যাডিশনাল বা রৈখিক থেকে বৃত্তাকার অর্থনীতিতে স্থানান্তর করতে হবে এবং পণ্যগুলো থেকে সর্বোচ্চ মূল্য আহরণ ও সংগ্রহ করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সার্কুলার ইকোনমির বিকাশ অত্যন্ত জরুরি। অর্থাৎ টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের কার্যকর হাতিয়ার সাকুর্লার ইকোনমি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সার্কুলার ইকোনমি সামিটে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এদিকে শিল্প খাতে সার্কুলারিটি অর্জনের জন্য কূটনীতিকরা দূষণের চেয়ে প্রবৃদ্ধিকে দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর রেডিসন ব্লæ ওয়াটার গার্ডেনে ‘বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিট’ এর আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনীসহ চারটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা, তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা, তিনটি বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা, গোলটেবিল বৈঠক ও ফায়ারসাইড চ্যাট অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, এইচএন্ডএম গ্রুপের হেড অব সাসটেইনেবিলিটি লায়লা আরথার এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন সম্মেলনের উদ্বোধনী প্ল্যানারিতে বক্তা ছিলেন।
আলোচনায় সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা পণ্য উৎপাদন করি, বিপণন এবং ফেলে দিই, যা টেকসই নয়। সুতরাং, যতদিন সম্ভব সম্পদের ব্যবহার করতে হলে আমাদের ট্র্যাডিশনাল থেকে বৃত্তাকার অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং ব্যবহারের সময় পণ্য থেকে সর্বোচ্চ মূল্য আহরণ ও সংগ্রহ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে। এর আকার এখন ট্রিলিয়ন তথা এক লাখ কোটি ডলার হওয়ার পথে রয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশগত ঝুঁকিও বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘সার্কুলার ইকোনমি’ দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি অর্থনৈতিকভাবে যেমন লাভজনক খাত, তেমনি পরিবেশদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়ও কার্যকর উপায় হতে পারে। সার্কুলার ইকোনমি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা দুটিই রয়েছে উল্লেখ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, উদ্যোক্তারা কাজের নিশ্চয়তা, বিনিয়োগ পরিবেশ ও নীতির ধারাবাহিকতা চান। এসবই আমাদের আছে। সার্কুলার ইকোনমির জন্য সরকারের পূর্ণ রাজনৈতিক ও নীতিগত সহায়তা রয়েছে। আমাদের শুধু বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক এবং এর ফলে এটিকে তৈরি পোশাকের বর্জ্যরে বৃহত্তম উৎপাদনকারীও করে তোলে।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, থ্রিআর- হ্রাস, পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার স্থায়িত্বের চাবিকাঠি। অধিকন্তু, ইইউ কর্তৃক নির্ধারিত বর্ধিত পণ্য বা প্রযোজকের দায়িত্ব বাংলাদেশের পোশাক উৎপাদনকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। সুতরাং, দেশে বৃত্তাকার ফ্যাশন প্রচারের গুরুত্ব বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বার্ন্ড স্প্যানিয়ার বলেন, বাংলাদেশে একটি মধ্যবিত্ত অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতে উপকরণের উচ্চ চাহিদা থাকবে। এ প্রসঙ্গে, আমি বৃত্তাকার অর্থনীতির ক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিতে চাই। প্রথমটি বর্জ্য এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির প্রচলন। এ ইস্যুতে উন্মুক্ত বাণিজ্য ছাড়াই, আমরা সম্ভাবনাকে হ্রাস করছি। সুতরাং, বর্জ্যরে ওপর কোনো বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা আমাদের লক্ষ্যের দিকে যেতে বাধা হবে। দ্বিতীয়ত, যদি একটি পরিষ্কার বৃত্তাকার অর্থনীতি থাকে, যা নোংরা জ্বালানি দ্বারা চালিত হয়, যা উদ্দেশ্যের বিরোধিতা করে- তবে এটি কোনো কাজে আসবে না। আমরা বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করার জন্য জ্ঞান এবং স্থানান্তর করার জন্য প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে চাই। সেজন্য আমরা ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্স গঠন করছি। আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম পাওয়ার চেষ্টা করব, কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের জ্ঞান বিনিময় করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়