সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

গোখাদ্য সংরক্ষণে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে চারদিক যখন পানিতে ভরপুর থাকে, তখন মাঠে গরু চড়ানোর কোনো জায়গা থাকে না। আর এ সময়টাতেই দেখা দেয় গো-খাদ্যের অভাব। তবে এ অভাব পূরণের বিকল্প হিসেবে শুকনো খড় বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখে কৃষকরা। অন্যথায় বর্ষায় গো-খাদ্য নিয়ে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের পর গো-খাদ্য সংরক্ষণ করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে হাওড়াঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন হাওড় ঘুরে দেখা যায়, বোরো মৌসুমের ধান শুকানোর পর এখন খড় শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। প্রচণ্ড গরমে জীবন হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে হাওরের উঁচু স্থান, আঞ্চলিক মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক, খলা কিংবা বাড়ির আঙিনায় ধান গাছের কাঁচা খড় শুকানো হচ্ছে। এরপর খড় গাদা দিয়ে রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২০১৬-১৭ সালে বন্যায় হাওড়ের সম্পূর্ণ ফসল তলিয়ে গেলে দেখা দেয় গো-খাদ্য সংকট। অনেকেই তখন কম মূল্যে নিজেদের পালন করা পশু বিক্রি করতে বাধ্য হন। এবার শান্তিগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান ঘরে তুলতে পেরে স্বস্তিতে প্রতিটি কৃষক পরিবার। এখন খড় শুকাতে ব্যস্ত তারা।
খাই হাওরের ঠাকুরভোগ গ্রামের কৃষক আনোয়ার বলেন, ভালোভাবে ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। আমার ৩টি গরু আছে। বর্ষাকালে গরুর খাদ্য হিসেবে খড়ই একমাত্র ভরসা। তাই এখন খড় শুকিয়ে রাখছি।
আরেক কৃষক সমছুল হক বলেন, ধান শুকানোর পাশাপাশি খড় শুকিয়ে সংগ্রহ করছি। আশা করছি ভালোভাবেই খড় সংগ্রহ করতে পারব। গরুর খাবারের জন্য এবার বর্ষায় চিন্তা করতে হবে না।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সোহায়েল আহমেদ বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষকরা। এখন গো-খাদ্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়