প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল বুধবার দুপুরে বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তোশাখানা জাদুঘর এবং সংস্কারকৃত রাষ্ট্রপতি ভবন বা বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক স্থাপনার একটি ভিডিও প্রত্যক্ষ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করেন। তিনি বিভিন্ন কক্ষের স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গভবনকে একসময় ‘মানুক বাড়ি’ বলা হতো। এরপর এটিকে ‘গভর্নর হাউস’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামিক এবং বাংলা স্থাপত্যের সঙ্গে ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের এক অনন্য সমন্বয়ে নির্মিত ভবনটি এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অফিস এবং বাসভবন। আর তোশাখানা জাদুঘর ভবনটি নানা দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের উপহার এবং ঐতিহাসিক আলোকচিত্র দ্বারা সুসজ্জিত। বঙ্গভবনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই জরাজীর্ণ তোশাখানা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আধুনিকায়ন করে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর’ এর সংস্কারকৃত ভবন উদ্বোধন করেন। পরে এটিকে সীমিত পরিসরে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
জাদুঘর পরিদর্শনের পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ইতিহাস মানুষকে অতীত ও ভবিষ্যতের পথ দেখায়। বঙ্গভবন বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন। দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বঙ্গভবনে অবস্থিত তোশাখানাটি আমাদের বর্ণাঢ্য সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তুলে ধরবে বলে রাষ্ট্রপ্রধান মনে করেন। তিনি বলেন, তোশাখানায় প্রদর্শিত উপহারসামগ্রী ও বিভিন্ন সময়ের স্থিরচিত্রসমূহ অতীতের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যতের যোগসূত্র স্থাপনে অবদান রাখবে। দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা ভবনটি পরিদর্শনকালে যাতে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে কর্তৃপক্ষকে সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। পরে রাষ্ট্রপতি সেখানে দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়