চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে স্থাপিত জাতির জনকের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও মূল্যবান ছবি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সন্ধ্যার পর জামালখানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এই বিক্ষোভ মিছিলের আগে জামালখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বক্তব্য রাখেন বলে আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, ক্ষমতাধর বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন বিদেশি শক্তির নাক গলানোর সুযোগ নেই। ক্ষমতাধর একটি দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে হতবাক। এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকুক ওই দেশটি চায় না। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই দেশটি পাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গপোসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পাল্টা ভেটো প্রদান করায় তাদের স্বার্থ হাসিল হয়নি এবং তারা পরাজিত হয়। তাই ১৯৭৫ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিথুন বড়–য়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আব্দুস সালাম মাসুম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক যুবলীগ নেতা জাবেদুল আলম সুমন, নঈম উদ্দীন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, জাকারিয়া দস্তগীর, মিঠুন মল্লিক, ওয়াহেদ রাসেল, শৈবাল দাশ, চট্টগ্রাম কলেজের মাহমুদুল করিম, কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিত্য নন্দী, মাকসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।