হাসপাতালে খালেদা জিয়া

আগের সংবাদ

অপরাধের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরের সংবাদ

র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু : দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটা স্পর্শকাতর ম্যাটার। বারবার সময় দেয়া হবে না। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
আদালতে তদন্ত কমিটির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের দুই মাস সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
শুনানির শুরুতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস আদালতকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এভিডেন্স (সাক্ষ্যপ্রমাণ) সংগ্রহ করেছেন। আরো আনুষঙ্গিক কাজ রয়েছে। তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় প্রয়োজন। এ সময় রিটকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক সময় আবেদনের বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, তারা আদালতের আদেশের এক মাস দুই দিন পর কমিটি গঠন করেছে। এখানে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। দুই মাস সময় দেয়া ঠিক হবে না।
মনোজ কুমারের আর্জি হাইকোর্ট শুনলেও কার্যকর করেননি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট দৃঢ় ভাষায় বলেন, দুই মাস সময় দিচ্ছি। দুই মাস কিন্তু দুই মাসই। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
জানা যায়, দাপ্তরিক কাজে গত ২২ মার্চ রাজশাহী থেকে নওগাঁয় যাচ্ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এনামুল হক। পথে দেখা পান র‌্যাবের একটি টহল দলের। তিনি নিজের একটি সমস্যার কথা টহল দলের ইনচার্জকে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে নওগাঁ ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনকে আটক করে। র‌্যাবের হাতে আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরদিন বিকেলে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল হক। সুলতানা জেসমিন তখন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে। ২৪ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিসহ কয়েকজন বাদীর পরিচয় ও পদবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন। এরপর চাকরি দেয়ার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন।
র?্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। এ রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। গত ৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত শুনানিতে জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়