সংসদে বিল উত্থাপন : আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগের সংবাদ

খুলনা-বরিশালে ‘উন্নয়ন’ ম্যাজিক : খুলনার উন্নয়ন ভাবনা ও ব্যক্তি ইমেজেই খালেকের বাজিমাত

পরের সংবাদ

বইয়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের : আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শিক্ষার সঙ্গে বইয়ের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বইয়ের সঙ্গেই সংযোগ ঘটাতে হবে এবং তা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু করতে হবে। বই পড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে শিক্ষা কারিকুলামেই। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালনা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক। সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক

সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কবি ফরিদ কবির, কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল, কবি মারুফ রায়হান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার নগর সম্পাদক কানাই চক্রবর্তী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার শিহাব শাহরিয়ার, এখন টেলিভিশনের সিইও তুষার আব্দুল্লাহ, প্রথম আলোর উপ-বার্তা সম্পাদক আলিম-উজ জামান, দৈনিক ইত্তেফাকের ফিচার এডিটর আসিফুর রহমান সাগর, কথাশিল্পী স্বকৃত নোমান, দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সম্পাদক ওবায়েদ আকাশ, রাইজিং বিডির নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায়, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাদিয়া মাহজাবীন ইমামসহ বিভিন্ন পাঠাগারের উদ্যোক্তারা।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা অনেক কিছু গোড়াতেই করি না। কেবল আগায় পানি ঢালি। গোড়াতে সার দিতে হবে, পানি দিতে হবে। তবেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, বইবান্ধব এবং জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে পাবলিক লাইব্রেরির কনসেপ্টের দিকে নজর দিতে হবে এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সব গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
পাঠককে জ্ঞানভাণ্ডারের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই ভালো ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাঠাগারকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি নীতি নির্ধারকদের নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। তিনি বলেন, বইমেলাকে ঘিরে গবেষণামূলক রিপোর্টিং প্রয়োজন। যাতে বইয়ের প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়ে এবং তা হতে হবে ইতিবাচক। এ ব্যাপারে বইসংক্রান্ত তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করারও পরামর্শ দেন তিনি।
কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, পাঠাভ্যাস এবং লেখাপড়ার ক্ষেত্রে পুরোটাই আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এই খামতিটা ঘর থেকেই হয়েছে। এখন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সবকিছুই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। সবই চলে গেছে ডিভাইসে। এমনকি সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দও কমে গেছে। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রগতির চিন্তা করতে হবে।
মিনার মনসুর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার। সেই পরিবারগুলোর একটি বৃহৎ অংশ বই ও সংস্কৃতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সন্তানকে প্রকৃত মানুষ করার পরিবর্তে তারাও এখন ভালো রেজাল্ট ও ভালো চাকরিকেই সন্তানের জন্য মোক্ষ জ্ঞান মনে করছেন। এখানে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দরকার। এই ঝাঁকুনিটা একমাত্র দেশ বরেণ্যে বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকরাই দিতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়