সংসদে বিল উত্থাপন : আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগের সংবাদ

খুলনা-বরিশালে ‘উন্নয়ন’ ম্যাজিক : খুলনার উন্নয়ন ভাবনা ও ব্যক্তি ইমেজেই খালেকের বাজিমাত

পরের সংবাদ

ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতে জকোভিচের ইতিহাস

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে নরওয়ের ক্যাসপার রুডকে ৭-৬ (৭-১), ৬-৩ ও ৭-৫ সেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে রেকর্ড ২৩তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। এর আগে স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের সঙ্গে যৌথভাবে ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড ছিল তার। এই জয়ে কার্লোস আলকারাজকে হটিয়ে ছেলেদের র‌্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে উঠেছেন তিনি।
গত দুই বছরে গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলা নিয়ে বার বার সমস্যায় পড়তে হয়েছে জকোভিচকে। কোভিড টিকা না নেয়ায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি তিনি। একই কারণে ইউএস ওপেন থেকেও নাম তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে নেমে নাদালের সমান ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেন। এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের শুরুতেই চোটের কারণে নাম প্রত্যাহার করে নেন নাদাল। যে কারণে তাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ ছিল জকোভিচের সামনে। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগান সার্বিয়ান এই টেনিস তারকা। এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে কার্লোস আলকারাজকে হারানোর পর শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছিল তার। ফাইনালের প্রথম সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেন জকোভিচ ও রুড। ফলে সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে আধিপত্য দেখিয়ে ৭-৬ (৭-১) সেটে জেতেন জকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে তেমন লড়াই করতে পারেননি রুড। হেরে যান ৬-৩ ব্যবধানে। আর তৃতীয় সেটে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও অভিজ্ঞ জকোভিচের সঙ্গে পেরে ওঠেননি এই নরওয়েজিয়ান। হেরে যান ৭-৫ সেটে। ফলে নিজের রেকর্ড ২৩তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নেন জকোভিচ।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর কোর্টের ওপর শুয়ে পড়েন জকোভিচ। কিছুক্ষণ পর উঠে দাঁড়িয়ে হাত মুঠো করে উচ্ছ¡াস। এর পরেই গ্যালারিতে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন কোচ গোরান ইভানিসেভিচকে। একে একে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরেন। এই নিয়ে ২০১৬, ২০২১ সালের পর তৃতীয় বারের মতো প্যারিসের শিরোপা জয় করা জকোভিচ। আর এর আগে ১০টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ৭টি উইম্বলডন এবং তিনটি ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছেন। জকোভিচ হচ্ছেন প্রথম কোনো টেনিস তারকা যিনি অন্তত তিনবার করে বিশ্বের শীর্ষ টেনিস টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করেছেন। জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে আমার জীবনে ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছি। সাত বছর বয়সে স্বপ্ন দেখছিলাম, একদিন আমি উইম্বলডন জিতব এবং বিশ্বের এক নম্বর হব। আমি মনে করি নিজের ভাগ্য তৈরি করার ক্ষমতা আমার ছিল।’
রেকর্ড ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নাদাল ও ফেদেরারসহ সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেও নিজেকে সেরা বলেননি জকোভিচ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কে সেরা এই আলোচনায় আমি ঢুকতে চাই না। আমি আমার নিজের ইতিহাস লিখছি। নিজেকে আমি গ্রেটেস্ট বলতে চাই না। আলোচনাটা অন্যদের ওপর ছেড়ে দিতে চাই। গ্র্যান্ডস্লামে নাদাল ও ফেদেরার এই দুজনের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুভূতি চমৎকার। তবে একই সময়ে এটিও ঠিক যে, সবাই নিজের ইতিহাসটাই লিখছে। আমি তো মনে করি প্রত্যেক গ্রেট চ্যাম্পিয়ন তার নিজের প্রজন্মে বড় পদচিহ্ন ও উত্তরাধিকার রেখে গেছে।’
জয়ের পর রুডকে উদ্দেশ করে জকোভিচ বলেন, ‘টেনিসে তুমি অন্যতম ভালো খেলোয়াড়দের একজন। সবাই তোমাকে সমীহ করে, ভালোবাসে এবং সেটার কারণও রয়েছে।
ফলাফলের জন্যে তোমার খারাপ লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু ভালো খেলেছ বলেই গতবার এবং এবার ফাইনালে উঠেছ। এটাই তোমার টেনিস প্রতিভা সম্পর্কে বলে দেয়।’
ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের মাধ্যমে এক লাফে দুই ধাপ উপরে উঠে শীর্ষস্থান মজবুত করেছেন জকোভিচ। সেমিফাইনাল পর্যন্ত তালিকার শীর্ষে ছিলেন আলকারাজ। রোঁল গারোসে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যাওয়া রুশ তারকা দানিল মেদভেদেরও অবনতি হয়েছে। অপরদিকে ফাইনালে পরাজিত নরওয়ের ক্যাস্পার রুড পুর্বের চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছেন। ৭৫৯৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নোভাক জকোভিচ। ৭১৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আলকারাজ। ৬১০০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে দানিল মেদভেদেভ। ৪৯৬০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ক্যাসপার রুড। আর ৪৯২০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন স্টেফানোস সিৎসিপাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়