কাগজ প্রতিবেদক : দুই চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ হয়েছে। খুলনায় মেয়র পদে গড়ে প্রায় ৪৫ শতাংশ ও বরিশালে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে, আর পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ভোট পড়ার আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গতকাল সোমবার দুই সিটি করপোরেশন ও দুটি পৌরসভার ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সিইসি এমন মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীর রক্তাক্ত হওয়াটা ‘আপেক্ষিক’। তিনি (প্রার্থী) কি ইন্তেকাল করেছেন? না। তবে তিনি কতটা আঘাত পেয়েছেন? আমরা যেটা দেখেছি, তার কিন্তু রক্তক্ষরণটাও দেখিনি। যতটা শুনেছি, তাকে কেউ পেছন দিক থেকে ঘুসি মেরেছে। তার বক্তব্যও শুনেছি, তিনিও বলেছেন- ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন- তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন, বা গুরুতর আঘাত পেয়েছেন যে ভোট শান্তিপূর্ণ বলা যাবে না। এর পরেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি, ভোট কার্যক্রম ওই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়নি।
জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে- আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, তাকে (মেয়র প্রার্থী) যে আহত করা হয়েছে, এখান থেকে সুস্পষ্টভাবে পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং অফিসার সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যে দায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করার পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। আরো তথ্য পরবর্তী সময়ে পাব। দায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বরিশাল ও খুলনা সিটি এবং কক্সবাজার ও আড়াইহাজার পৌরসভায় ভোট হয়। সেসব এলাকার ভোট পরিস্থিতি ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখে কমিশন।
সিইসি বলেন, যেটা দেখেছি- আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। সার্বিকভাবে আজকের নির্বাচনটা বেশ সুশৃঙ্খল, আনন্দমুখর পরিবেশে হয়েছে।
গণমাধ্যমসহ সবখানে ইতিবাচক সংবাদ পেয়েছি। দুই চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক। ভোটে অনিয়ম ও কেন্দ্রের গোপনকক্ষে ‘ডাকাতে’র উপস্থিতির মতো কোনো ঘটনা দেখা যায়নি।
বিএনপি ও সমমনা দল ভোটে না থাকায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এবার ভোটের হার তুলনামূলক কম হওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে ভোটের হার ৫০ শতাংশের মতো হওয়ায় সিইসি সন্তোষ প্রকাশ করেন।