সংসদে বিল উত্থাপন : আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগের সংবাদ

খুলনা-বরিশালে ‘উন্নয়ন’ ম্যাজিক : খুলনার উন্নয়ন ভাবনা ও ব্যক্তি ইমেজেই খালেকের বাজিমাত

পরের সংবাদ

উরুগুয়ের প্রথম শিরোপা ইতালিকে উড়িয়ে : অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে দুইবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে উরুগুয়ে। তবে গতকালের আগে যুব বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ীদের তালিকায় নাম ছিল না দেশটির। এর আগে দুটি ফাইনাল খেললেও তারা একবারো শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে পারেনি। গতকাল আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ফাইনালে ইতালি অনূর্ধ্ব-২০ দলের বিপক্ষে মাঠে নামে উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ দল। তারা ইতালির বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় ছিনিয়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপার ছোঁয়া পায়। উরুগুয়ের হয়ে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন লুসিয়ানো রদ্রিগেজ।
ইতালির যুবারা প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে। তাই উরুগুয়ের যুবাদের তারা ম্যাচের শুরু থেকেই চেপে ধরার চেষ্টা করে। এই চেষ্টায় তারা পুরো ম্যাচেই সফলতার ছাপ রাখে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ সময় বল ছিল ইতালির ছেলেদের পায়ে। বল দখলে তারা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণের দিক থেকে প্রথম থেকেই এগিয়ে থাকে উরুগুয়ে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত উরুগুয়ের যুবারা ইতালির গোলপোস্টের দিকে ৮টি শট নেয়, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৪টি। এর বিপরীতে ইতালির ছেলেরা আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও উরুগুয়ের পোস্টে একটিও শট নিতে পারেনি।
ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত উরুগুয়ে। লুসিয়ানো রদ্রিগেজের ক্রস থেকে সরাসরি পোস্টের দিকে শট নেন অ্যালান মাতুরো। তবে সেই শট আটকে দিয়ে নিজেদের জাল রক্ষা করেন ইতালি গোলরক্ষক সেবাস্তিনো দেসপ্লানচেজ। এরপর ইতালির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা বল দখল করে প্রতি আক্রমণে যায়। উরুগুয়ের ডি বক্সের কাছাকাছি যাওয়ার পরই ইতালি ফরোয়ার্ডকে ফাউল করে বসেন মাতুরো। সঙ্গে সঙ্গেই ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। তবে সেই ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় ইতালির ছেলেরা। এরপর ম্যাচের ৯ম মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উরুগুয়ে। ৮ম মিনিটে ইতালির ড্যানিয়েল গিলার্দির করা ফাউলের কারণে ফ্রি কিক পায় উরুগুয়ে। দলটির হয়ে শট নেন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো রদ্রিগেজ। তার বাকানো শট থেকে বল গোল পোস্টের ডান প্রান্ত ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটেই ফের সুযোগ পায় দলটি। এবারো ফ্যাব্রিসিওর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে টানা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে উরুগুয়ে। কম সময় বল পায়ে পেলেও এভাবে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে উরুগুয়ের যুবারা। তবে তাদের প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় গোলশূন্য সমতা নিয়েই।
বিরতির পর মাঠে নেমে উরুগুয়ের আক্রমণভাগ গোল করে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ফের একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। টানা আক্রমণ করে উরুগুয়ের যুবারা তাদের কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে। দলটির হয়ে একমাত্র গোলটি আসে একাধিক শট নেয়া লুসিয়ানোর হেড থেকে। এই এক গোলের লিড পেয়ে রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে উরুগুয়ে। ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট উরুগুয়ের জন্য ছিল নিজেদের জাল অক্ষত রাখার লড়াই।
গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ডের কাছে ৩ গোল ছাড়া আর কোনো ম্যাচে গোল হজম করেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত এই এক গোলের লিডে থেকেই যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে লাতিন আমেরিকার দলটি।
দুই বছর পরপর হওয়া এই টুর্নামেন্টে লাতিন আমেরিকান কোনো দল এক যুগ পর শিরোপার ছোঁয়া পেয়েছে।
লাতিন আমেরিকা থেকে সর্বশেষ ২০১১ সালে যুব বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল।
এর আগে ১৯৯৭ ও ২০১৩ সালে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল উরুগুয়ে। এবার তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলে নিজেদের প্রথম শিরোপার ছোঁয়া পেয়েছে উরুগুয়ের যুবারা। ম্যাচ শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়