চট্টগ্রাম অফিস : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ তথা সমাজের জন্য কোনো উদ্যোগ নিলে এর সাফল্য অনিবার্য। গত ১০ বছর ধরে জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের মেধাচর্চার যে ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে তা প্রশংসনীয়। এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি এবং সফলতা মানে দেশ ও দশের মঙ্গল।
গত শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের এলজিইডি মিলনায়তনে জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও শিশু উৎসবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, তোমরা ভালো রেজাল্ট করে তোমাদের মা-বাবার সম্মান যেভাবে বাড়িয়েছ, তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও গৌরবান্বিত করেছ। আজকের মেধাবৃত্তি তোমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা তোমাদের অনেক উঁচুতে দেখতে চাই। আমার বিশ্বাস তোমাদের হাত ধরেই এই দেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপউপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে বলেন, শিক্ষা ছাড়া প্রতিযোগিতার বিশ্বে টিকে থাকা যাবে না। তাই তোমাদের জ্ঞান শুধু পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। শুধু দেশের মানুষকে নয়, বিশ্বের সব নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষকে ভালোবাসতে হবে। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
জিনিয়াস ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন বিপ্লব মিত্র’র সভাপতিত্বে সমুদ্র টিটু ও বিলকিছ আকতারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সরোজ আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইতিহাস গবেষক জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যুব সংগঠক এম আর আজিম, জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উত্তম কুমার আচার্য্য, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন, লায়ন সমর কুমার দে প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রায় একশ স্কুলের কে জি থেকে পঞ্চম শ্রেণির চার শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে সনদ, ক্রেস্ট, ল্যাপটব, প্রাইজবন্ড ও ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা।