কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তানে ভয়াবহ বর্ষণে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো দেড় শতাধিক মানুষ। গত বছরও এই একই সময় নজিরবিহীন বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। ফলে ভারি বর্ষণ থেকে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে দিন পার করছে পাকিস্তানিরা। আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, মূলত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বর্ষণের কারণে বাড়িঘর ধসে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বর্ষণের কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পাশাপাশি উপড়ে গেছে বহু গাছ ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ার। এতে আহত হয়েছে বহু মানুষ। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বানু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলা।
সিনিয়র রেসকিউ অফিসার খাতির আহমেদ বলেন, উদ্ধারকর্মীরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর আগে গত মাসে পাকিস্তানে গিলগিট-বালতিস্তানের আস্তোর জেলায় হঠাৎ তুষারধসের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছিল আরো ২৬ জন।
এদিকে শনিবারের দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়া তিনি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত গতিতে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আরব সাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলার জন্যও কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে ধেয়ে আসছে।
গত বছর প্রবল বৃষ্টিতে পাকিস্তানে সৃষ্ট বন্যায় ৬৪৭ জন শিশুসহ ১ হাজার ৭৩৯ জন মারা যান। এটি ছিল পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকিস্তানের প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ওই বন্যায়। দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকটে ওই বন্যার ভূমিকা ছিল ব্যাপক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।