শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

আসামি ছেড়ে দেয়ায় কমলনগর থানার ওসিকে সমন

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ল²ীপুর : ল²ীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
গতকাল রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। থানার ওসিসহ ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অচেনা আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান এ মামলা দায়ের করেন।
ওই আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসিসহ আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আগামী ২০ জুন তাদের আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
মামলার বাদী মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। এজাহার সূত্র জানায়, শাহজাহানদের সঙ্গে মজিবুরদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে শাহজাহান তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ল²ীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন কারাগারে থাকার পর মজিবুর জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে তিনি জেলে থাকাকালীন গত ২৪ এপ্রিল শাহজাহান ও তার লোকজন মজিবুরের দোকানের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পরে কারাগার থেকে বের হয়ে মজিবুর ৪ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নথিভুক্ত করে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার ভোরে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে ওসি সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেন।
একইদিন সকাল ৬টার দিকে শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাসার সামনে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়। এ নিয়ে বাদী পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোনো চিঠিও পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিল।

অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়