পেঁয়াজ-সবজির দামে স্বস্তি, মাছ চড়া

আগের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ‘ডেড’ নয় ‘লাইফ’ ইস্যু

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, এখন ‘লাইফ’ ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে এই সরকার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে কারণে আমরা বার বার বলছি, এই সরকারের এখন থাকার আর কোনো কারণ নেই। তারপরেও সরকারের মন্ত্রীরা বলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ডেড ইস্যু।
গতকাল শনিবার দুপুরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের জবাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার ও মহাসচিব তরুণ কুমার দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, তপন চন্দ্র মজুমদার, সুশীল বড়–য়া, ভাইস চেয়ারম্যান অর্পনা রায়, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, রমেশ দত্ত, প্রয়াত নেতার ছেলে গৌরব চক্রবর্তীসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। এত চুরি, দুর্নীতি করার পরেও তারা একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারেনি। তাই তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ভোট ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। কারন, তারা জানে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হলে পার্লামেন্টে ১০ ভাগেরও বেশি ভোট পাবে না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালের নির্বাচন দেখেছে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকেছিলেন সংলাপের জন্য। আমরা মনে করেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয় সেই অবস্থায় আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি তাহলে হয়ত জনগণের সেই ইচ্ছা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারব।
ফখরুল বলেন, আইনমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেছেন, যখন নির্বাচন চলবে, নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা থাকবে যে, তখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এই কথা কে বিশ্বাস করবে? তিনি বলেন, আমরা দুইবার প্রতারণার স্বীকার হয়েছি। থার্ড টাইম এদেশের মানুষ আর প্রতারণার স্বীকার হবে না। তাই সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়