তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

ল²ীপুরে কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দখল

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ল²ীপুর : ল²ীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোটি টাকার সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জমি রক্ষার জন্য লিজ গ্রহীতারা উচ্চ আদালতের আদেশের কপি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসনের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও কোনো সহযোগিতা পাননি। ইজারাগ্রহীতা আনোয়ার হোসেন গত বৃহস্পতিবার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বটগ্রাম গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে ইজারা গ্রহীতাদের পক্ষে তার লিখিত বক্তব্যে জানান, চন্দ্রগঞ্জ মধ্য বাজারস্থ দেওপাড়া মৌজার সাবেক ১৭৭৪ ও ১৭৭৫ দাগের জমির মালিক ও দখলদার তারা। এই জমির সঙ্গে থাকা ১৭৭৩ দাগের ১৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ তাদের মালিকানাধীন। বাকি ৫ শতাংশ জমির মালিক সরকার। সরকারি এ ৫ শতাংশ জমি তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে লিজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি এ জমির লিজ নবায়ন না করায় তারা জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে হাইকের্টে বিচারাধীন আছে। হাইকোর্ট থেকে জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ার কারণে লিজ গ্রহীতা ও মামলার বাদী পক্ষ এ জমিতে তাদের স্থাপনা সমূহের নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রাখেন।
সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ বাজারের একটি চক্র উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে আলী হোসেন, পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে সহিদুল ইসলাম এবং বেগমগঞ্জের মোহাম্মদপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন এ জমিতে ইজারাদারের নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ফলে সরকারের কোটি টাকা মূল্যমানের জমিটি বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারের কাছে এ জমি লিজ নেয়ার জন্য আবেদন করেছি। চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি দখলকারীদের মৌখিকভাবে বাধা দিয়েছি। কিন্তু তারা শুনছেন না। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি তাদের ডেকে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য বললেও তারা তা মানছেন না।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন বলেন, ভবন নির্মাণকারীদের ডেকে এনে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়