নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়া কোন দিকে? বরিশালে চার প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

পরের সংবাদ

স্বজনদের দাবি হত্যা : কুমিল্লায় এক রশিতে মা ও ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : হোমনায় এক রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন সানজিদা আক্তার (২০) ও তার একমাত্র সন্তান আবদুল্লাহ (২)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোমনা সদরের ফকির বাড়ির নিহত সানজিদার স্বামীর ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সানজিদা আক্তার উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মো. রনি মিয়ার মেয়ে এবং হোমনা সদরের ফকির বাড়ির মো. বাবু মিয়ার স্ত্রী। সানজিদা আক্তারের বাবার অভিযোগ স্বামী, ননদরা ও শাশুড়ি মিলে তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।
নিহতের বড় ভাই মো. শরীফ মিয়া জানান, তিন বছর আগে হোমনা সদরের ফকির বাড়ির বাবু মিয়ার সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর কিছুদিন সংসার ভালো চললেও তাদের একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহর জন্মের পরই বোনজামাই বাবু অন্য একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে আমার বোনের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে। শুধু বোনজামাই না, বোনের শাশুড়ি, ননদ লাকী, আকলিমা ও পাখি মিলে কারণে-অকারণে তার বোনকে মারধর করতেন। কথায় কথায় বলতেন- ‘বাপের বাড়ি থেকে তুই কিছু আনতে পারছ না। তুই মর; তুই মরলে, তরতে (তোর থেকে) ভালো বিয়া করাইতে পারমু।’ প্রায়ই তারা মারধর করে আমার বোনকে আহত করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিত।
এতে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাবা বলতেন- ‘থাক, আর আমরা সানজিদাকে হের (বাবুর) ভাত খাওয়াইতাম না।’ তারপর আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিনের কথায় আমরা আবার সানজিদাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। শরীফ মিয়া আরো জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির (সানজিদার) স্বামী, শাশুড়ি ও ননদরা দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল। এ নিয়ে প্রায় ৫/৬ বার সালিশ বৈঠকও হয়। সর্বশেষ বৈঠকে আমি ছিলাম, ওই বৈঠকে রনি মিয়া মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে রাজি ছিল না। একটা ছেলেসন্তান ছিল। বিয়েটা ভেঙে গেলে ছেলেটা এতিম হয়ে যাবে। এই চিন্তা করে আমরা স্থানীয়রা সবাই বুঝিয়ে মেয়েটাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘরের দরজা ভেঙে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা এবং ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহত সানজিদার স্বামী ও আবদুল্লাহর বাবা বাবু মিয়াকে বাড়িতে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়