কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

পুরান ঢাকার ডিআইটি পুকুর দখলমুক্ত করা হবে : ডিএসসিসি মেয়র

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পর্চা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে পুরান ঢাকার ডিআইটি পুকুর দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ওই জমিটা নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা আমাদের সম্পত্তি বিভাগকে জরিপ করতে বলেছি। তারা দেখবে। জমির মালিকানা অনেকেই দাবি করছে। তাই বিষয়টা খতিয়ে দেখে আমরা রাজউকের সঙ্গে কথা বলে সেটা সংরক্ষণ করব। কেউ এটা দখল করতে পারব না। আমরা সেখানে সৌন্দযবর্ধন করব।
গতকাল বুধবার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরজমিন পরিদর্শন শেষে রাজধানী সুপার মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানেই এসব কথা বলেন মেয়র।
বিভিন্ন সংস্থার কাছে থাকা জলাশয়, পুকুর আইন অনুযায়ী করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর না করায় দখলের আগ্রাসন বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা রাজউককে জানিয়েছিলাম এটা দখলমুক্ত করতে। কারণ, সব জলাশয়-পুকুর সংরক্ষণ করা কিন্তু সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু এখনো বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর অনেক সংস্থার কাছে রয়ে গেছে। যার কারণে আমরা যথাযথ ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে চাইলেও পারছি না। যেমন খিলগাঁওয়ের তালতলা ঝিল। সেটাও আমাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য আমরা গণপূর্তের কাছে আবেদন করে বসে আছি। সেটাও দখল হচ্ছে। দিনে দিনে দখলের আগ্রাসন আরো বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রোকনপুর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেটির সংস্কার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই ডিআইটি পুকুর পাড়ে আর কোনো কাউন্সিলর কার্যালয় থাকতে পারবে না।
শেখ তাপস বলেন, জনগণের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় উড়াল সেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। উড়াল সেতুর নিচে যে পরিবেশ আছে, সেটাকে কীভাবে উন্নয়ন করা যায় তা ঢাকাবাসীর অনেক দিনের প্রাণের দাবি। আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। কোন জায়গায় এলাকাবাসীর কী প্রয়োজন সেটা মাথায় নিয়ে সেখানে কীভাবে সৌন্দর্যবর্ধন করা যায় সে বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখছি।
এর আগে মেয়র মগবাজার উড়াল সেতুর নিচে চলমান কাজ ও পরে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম, ধোলাইপাড়-দয়াগঞ্জ রেল ব্রিজ পর্যন্ত বক্স কালভার্ট পরিষ্কার কার্যক্রম এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৩৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়