কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

‘গ্লাস ভেঙে বাইরে এসেই দেখি সবকিছু লণ্ডভণ্ড’

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

খালেদ আহমদ, সিলেট থেকে : ‘পিকআপ ভ্যানের সামনের সিটে বসে ভোরবেলা সিলেট থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ওসমানীনগর উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছিলাম। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজিরবাজার এলাকায় হঠাৎ বিপরীতমুখী একটি ট্রাক আমাদের দিকে ছুটে এসে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িতে। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আমাদের সবকিছু।’ এভাবেই ভোরের কাগজের কাছে কথাগুলো বলছিলেন দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত সায়েদ নুরের ভাই শের ইসলাম (৫৫)।
তিনি বলেন, ‘বিপরীত থেকে আসা ট্রাকটি রাস্তার বাম দিক থেকেই সিলেটের দিকে এগুচ্ছিল। আমাদের পিকআপ থেকে আনুমানিক ৫০ ফুট দূরে থাকা অবস্থাতেই আচমকা ডান দিকে ছুটে আসে। তখন আমাদের গাড়ির ড্রাইভার ডান দিকে স্টিয়ারিং ঘুরালে ট্রাকটিও তার গতিপথ পরিবর্তন করে আমাদের দিকে চলে আসে এবং দুর্ঘটনা ঘটে। মালবোঝাই ট্রাকটির ধাক্কার পর বিকট একটি শব্দ হয়। আমাদের গাড়িটিও দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যায়। কীভাবে হাত দিয়ে গাড়ির (পিকআপ ভ্যানের) গøাস ভেঙে বাইরে এসেছি তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।’
কাজের প্রয়োজনে ১৫ দিন আগে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থেকে সিলেট নগরীতে আসেন দুলাল মিয়া (২৭)। গতকাল বুধবারের সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। প্রায় ৩ মাস আগে সুনামগঞ্জের ছাতকে বালুবাহী দুটি নৌকার সংঘর্ষে প্রাণ হারান তার আপন বড় ভাই হেলাল আহমদ (২৯)। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে এ কথা জানান মৃত দুই ভাইয়ের ফুপাতো ভাই মো. শাহীন। তিনি বলেন, দুলালের বড় ভাই হেলাল প্রায় ৩ মাস আগে দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে যান। মাসখানেক আগে পরিবারের লোকজন হেলালের স্ত্রী শারমিন বেগমকে (২৫) বিয়ে দেন দুলাল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর কাজের জন্য সিলেটে আসেন দুলাল। থাকতেন আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকার ভাড়া বাসায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়