গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

লাইটহাউজ প্রকল্প : নৌ মন্ত্রণালয়ের ৭ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব গেøাবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস এন্ড সেফটি সিস্টেম এন্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)’ প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সাত কর্মকর্তাকে ডেকে প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। প্রকল্প পরিচালককেও নোটিস পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। দুদকের নোটিসপ্রাপ্ত প্রকল্পের একাধিক কর্মকর্তা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুদক যাদের ইতোমধ্যে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা হলেন- প্রকল্পের ডেপুটি নটিক্যাল সার্ভেয়ার (ডিএনএস) ক্যাপ্টেন ফরহাদ জলিল বিপ্লব, দুইজন সহকারী পরিচালক (এপিডি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও নাজমুল হোসাইন, জুনিয়র ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের রহমান ফাহিম, উপপ্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) ক্যাপ্টেন আবু হায়াৎ আশরাফুল আলম, এপিডি পতিত পবন দাস ও সহকারি ইলেক্ট্রিশিয়ান সাইফুল ইসলাম। এদের মধ্যে সবার আগে ফরহাদ জলিল বিপ্লবকে নোটিস পাঠিয়ে গত ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ১৮ মে নোটিস পাঠিয়ে ২৩ মে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নাজমুল হোসাইন ও মোবাশ্বের রহমান ফাহিমকে। সর্বশেষ ২৮ মে আবু হায়াৎ আশরাফুল আলম, পতিত পবন দাস ও সাইফুল ইসলামকে নোটিস পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৩১ মে। দুদক কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়া প্রকল্পের সাত কর্মকর্তার মধ্যে ডেপুটি নটিক্যাল সার্ভেয়ার ফরহাদ জলিল বিপ্লব, এপিডি পতিত পবন দাস ও সহকারি ইলেক্ট্রিশিয়ান সাইফুল ইসলাম- এ তিনজন পিডি আবু সাঈদ দেলোয়ার রহমানের ঘনিষ্ঠজন বলে জনশ্রæতি রয়েছে।
সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবু সাঈদ মো. দেলোয়ার রহমান ও ডেপুটি নটিক্যাল সার্ভেয়ার ফরহাদ জলিল বিপ্লবসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের পাশাপাশি মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামি কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। অধিদপ্তরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালকের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তবে দীর্ঘদিনেও মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
দুদকে হাজির হওয়ার বিষয়ে ডিপিডি আবু হায়াৎ আশরাফুল আলম বলেন, প্রকল্পের যেসব বিল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাতে আমার স্বাক্ষর নেই। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে যেখানে অসঙ্গতি মনে হয়েছে, সেখানেই আমি আপত্তি দিয়েছি। এজন্য আমার বেতন ছয় মাস বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি আমি বকেয়া বেতন পেয়েছি।
এপিডি নাজমুল হোসাইন বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি অন্যায়ের বিরোধিতা করেছি। তারপরেও বিনা অপরাধে গত ছয় মাস আমার বেতন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমার যা বলার ছিল তা দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে বলে এসেছি। দুদক মোট সাতজনকে তলব করেছে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রকল্প পরিচালক আবু সাঈদ মো. দেলোয়ার রহমানকে অল্প দিনের মধ্যেই দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তার পরিবর্তে উপসচিব বা সমমর্যাদা সম্পন্ন প্রশাসনিক ক্যাডার সার্ভিসের কাউকে নতুন প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়