কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ রক্ষায় নগরের গাছের পরিচর্যায় ১০০ মালি নিয়োগ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এমনটি ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, প্রত্যেক মালির কাজের আওতায় ১ কিলোমিটার করে থাকবে।
নগরের তাপমাত্রা কমাতে ‘সবুজে বাস ১২ মাস’ এই স্লোগানে নগরজুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ডিএনসিসি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মেয়র আনিসুল হক সড়কে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কমকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের রহমান, প্রধাম প্রকৌশলী আমিরুল ইসলামসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদ ও বন বিভাগের পরামর্শ মতোই গাছ লাগানো ও লালন করা হবে। ফুটপাতে পাঞ্চ করে ছাতিম, বকুল ও কাঠবাদাম এই ৩ ধরনের গাছ লাগানো হবে। এমনকি যেখানেই খালি জায়গা পাওয়া যাবে ২০ ফুট দূরত্বে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু গাছ লাগানো হবে। তিনি বলেন, ফুটপাত, মিডিয়ান, জলাধারের পাড়, ৩ ক্যাটাগরির উপযুক্ত গাছ লাগাবে ডিএনসিসি। নগরবাসী যেন রক্ষণাবেক্ষণে এগিয়ে আসে এবং তাদের সাধ্যমতো নিজ নিজ বাসাবাড়ির আঙিনায় গাছ লাগায়।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের পাশাপাশি পাখিদের অভয়ারণ্য জরুরি মন্তব্য করে উত্তরের মেয়র বলেন, রাস্তার মাঝখানে পাখিদের খাদ্য সহায়ক ‘রসকাল’ গাছ লাগিয়ে দেয়া হবে। এর পাশাপাশি নগরের সুস্থ শ্বাস-প্রশ্বাসের সহায়ক হিসেবে কার্বন কমাতে বনজ ও ঔষধি গাছও লাগানো হবে।
আগামী বাজেটে নগরের গাছের জন্য সর্বোচ্চ বাজেট রাখা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রাস্তার চারপাশে কোনো খালি জায়গা রাখা যাবে না। তিনি বলেন, কাঠাপ্রতি অন্তত ১টি গাছ লাগানো নিশ্চিত করতে রাজউক ও ডেভেলপারদের প্রতি নগরবাসীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। গাছ রক্ষায় যে ওয়ার্ডগুলো সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব বলেন, ডিএনসিসির প্রতি ওয়ার্ডে গাছগুলোর দেখভালে ওয়ার্ডবাসীকেই অভিভাবকত্ব নিতে হবে। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীজুড়ে গাছের শুমারি করা হবে।