গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

অভয়নগরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নওয়াপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : অভয়নগর উপজেলায় জেলা পরিষদের জায়গার উপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা পরিষদের নওয়াপাড়া নূরবাগ এলাকায় ১৭টি আধা পাকা ও টিনশেড ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০০২ ও ২০০৩ সালে একশ্রেণির লোক যশোর জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা করতে থাকে। পরবর্তীতে তারা ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে নবায়ন করে। পরে জেলা পরিষদের মাসিক সভায় উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদ উক্ত স্থানে আয়বদ্ধ প্রকল্প গ্রহণ করে সেখানে তিনতলা বিশিষ্ট মার্কেট তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তাদের চিঠি দেয়। কিন্তু তারা স্থাপনা না সরিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়। নি¤œ আদালতে তারা হেরে যায়। এরপর আপিল করলে সেখানেও তারা হেরে যায়। সর্বশেষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেও হেরে যায়। পরে তাদের আবারো অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে চিঠি দেয় জেলা পরিষদ। এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা পরিষদ সূত্র আরো জানায়, নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগ নামক এলাকায় জেলা পরিষদের সাড়ে বারো শতক জমি প্রায় ২১ বছর আগে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। একসনা বন্দোবস্তকৃত এসব ভূমির মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়। ইজারা গ্রহিতারা আর নবায়নও করেননি। ফলে বেদখলে কেটে যায় প্রায় ৭ বছর। সেসব জায়গাতে অনেকে স্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে এতদিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সরদার বলেন, নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগ এলাকায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ভূমি একসনা বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছিল। একসনা বন্দোবস্তের শর্ত অনুসারে, কোনো অবস্থায় ইজারাকৃত ভূমিতে স্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। এসব শর্তাবলি কেউ লঙ্ঘন করলে ইজারা আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ইজারা গ্রহীতারা সেই শর্ত ভেঙে স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। যে কারণে উচ্ছেদ অভিযানে সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমিতে স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দেবে জেলা পরিষদ।
এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জেলা পরিষদ। পুলিশের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানকালে অনেক ব্যবসায়ীকে দোকান ছেড়ে মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা যায়।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান থান্ডার, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মো. মহিদুল ইসলাম মেহেদী, নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল হামিদ, ফায়ার সার্ভিস অফিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন মনির, অভয়নগর থানার এসআই হরষিত রায়, মো. ওহিদুল এবং যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আ. রউফ মোল্যা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়