গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ : সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে দুদকে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা প্রায় চার ঘণ্টা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক আলী আকবের নেতৃত্বে পৃথক দুটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন জাহাঙ্গীর। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক এই মেয়রকে গত ২১ ও ২২ মে হাজির হতে বলা হলেও তখন তিনি সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ ও ৭ জুন দিন ধার্য করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ মাস ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদকসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা অভিযোগ করেছেন, তাদের ঠিকানা বা হদিস নেই। কাগজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। দুদক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। গত ২১ মে তারা আমাকে ডেকেছিল। আজকেও তারা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছিল। আমি দুদক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের নাটক সাজানো হয়েছে। অথচ মন্ত্রণালয় থেকে ৬ থেকে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই জায়গায় কাগজের মধ্যে লিখে দিয়েছে, সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ! যত মিথ্যা, পচা, অন্যায়-অনিয়মের কথাগুলো লেখা হয়েছে। কে বা কারা লিখেছে সেটার কোনো তথ্য নেই। আমি দুদকে লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি, সেটা পরীক্ষিত। আমাকে যেমন জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল, তেমনি আমার মাকেও ভোট দিয়ে সেটি স্মরণ রেখেছে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে এভাবে হয়রানি করলে জনসেবকরা নিরুৎসাহিত হয়। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ২০২১ সালের নভেম্বরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে মেয়র পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করে সরকার। এবারের সিটি নির্বাচনের আগে জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করলেও দল তাকে আর মনোনয়ন দেয়নি। নৌকার মনোনয়ন পান আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর বিদ্রোহ করে নিজের ও মায়ের নামে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ঋণখেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। আওয়ামী লীগও তাকে ফের বহিষ্কার করে। তবে মা জায়েদা খাতুনকে ভোটের লড়াইয়ে জেতাতে উদ্যোগী হন তিনি। শেষ পর্যন্ত জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়