গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার গ্রামীণফোনের

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টেকসই পরিবেশ তৈরি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবুজ সল্যুশন নিয়ে আসতে নিজেদের প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করেছে গ্রামীণফোন। গতকাল সোমবার জিপিহাউজে আয়োজিত ‘গ্রিন এনার্জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নিজেদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-সভেন্ডসেন, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, ইউআইইউ’এর সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের ডিরেক্টর মো. শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ, ডিট্রোলিক এনার্জি হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডির গ্রুপ সিইও থাম ছি অওন এবং এইচঅ্যান্ডএমের স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট এন্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞপ্তি
আলোচকরা করপোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টের (সিপিপিএ) বর্তমান আইন, বেসরকারি খাতের ট্রান্সমিশন ব্যবহার ও অবকাঠামো বিন্যাস এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বাজারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পক্ষের সহযোগিতার গুরুত্বসহ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত নানান বিষয়ের ওপর গঠনমূলক আলোচনা করেন।
সবুজ রূপান্তরের গুরুত্বে আলোকপাত করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, জার্মানওয়াচের ২০২১ গেøাবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স (সিআরআই) অনুযায়ী, আমরা দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছি এবং দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সৌরশক্তি চালিত টাওয়ার স্থাপন করা সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে অন্যতম একটি পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ আমাদের কার্যক্রম থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে সবুজ উদ্যোগ গ্রহণকারী অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বিস্তৃত পরিসরের উদ্যোগ নেয়ার মধ্য দিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আমার বিশ্বাস, গ্রিডলাইন ব্যবহার করার মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হলে তা দেশে সবুজ জ্বালানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়বে; এছাড়া আমাদের জাতীয় লক্ষ্যও অর্জিত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রামীণফোন বরাবরই পরিবেশকে কেন্দ্রে রেখে কৌশল ও কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় মধ্যে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। তাই গ্রামীণফোন হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২শ টাওয়ারকে সৌরশক্তি-চালিত টাওয়ারে রূপান্তরিত করেছে এবং এর দ্বারা যেসব অঞ্চলে কানেক্টিভিটি সুবিধা নেই সেখানে কানেক্টিভিটি সেবা নিশ্চিত করছে। এই হাইব্রিড সাইটগুলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত জ্বালানি সঞ্চয় করছে। নিজেদের প্রতিশ্রæতি পূরণে এটি গ্রামীণফোনের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়