গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

ভারতে পালানোর সময় হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবক খুনের ঘটনার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই দুই আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত রবিবার রাতে খুলনার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে নগর পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের বন্দর ও পশ্চিম শাখার যৌথ টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবুল হাসনাত রাজু (৩৪) ও মো. ওসমান (৩৫)। তাদের বাসা নগরীর হালিশহরের নয়াবাজার এলাকায়।
গত ২৮ মে সকালে নগরীর পাহাড়তলী থানার হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় আজাদুর রহমান (৩০) নামে স্থানীয় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। মৃত্যুর আগে আজাদের দেয়া একটি ভাষ্যের ভিডিও পরবর্তী সময়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, আজাদ তার হত্যাকারী হিসেবে ওসমান ও রাজুকে দায়ী করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজাদের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ওসমান, রাজীব, রাজু ও ফয়সাল নামে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। গত ২৯ মে র‌্যাব এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল অভিযুক্ত ওসমান ও রাজু পলাতক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, আজাদ ও তার বড় ভাই মফিজ নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। ২৭ মে রাতে খোলা জায়গায় এক যুবক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছিল। বাধা দেয়ায় ওই যুবকের সঙ্গে আজাদ ও তার ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ডিউটি শেষে ভোরে বাসায় ফেরার পথে আজাদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত আজাদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, নয়াবাজার এলাকায় রাস্তার দোকান ও পার্কিং থেকে নিয়মিত চাঁদা নিত প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী সন্ত্রাসীরা। আজাদ বাধা দেয়ায় তার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় বাধা দেয়ার ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। ভোরে আজাদকে হত্যা করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোসেন জানান, ওসমান ও রাজু হত্যাকাণ্ডের পর খুলনা পালিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সাতক্ষীরা হয়ে তাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর আগেই গত রবিবার তাদের খুলনার পাইকগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজু ও ওসমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, আজাদ ও তার ভাইয়ের সঙ্গে টমি নামে এক যুবকের ঝগড়া হয়েছিল। ভোর রাতে টমি, ফাহিম, ওসমান ও রাজু মোটর সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আজাদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায়। এরপর মোটরসাইকেল থেকে নেমে টমি আজাদকে প্রথম ছুরিকাঘাত করে পরে ফাহিমসহ অন্যরা তাকে আঘাত করে। ঘটনার পর তারা টমির বাসায় গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছোরা রেখে আসে এবং পরনের কাপড় পাল্টে সেগুলো ভিজিয়ে রাখে। আমরা টমির বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা দুটি উদ্ধার করি। পলাতক টমিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়