‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

সংসদীয় কমিটির অভিযোগ : নি¤œমানের দুধ সরবরাহ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে নি¤œমানের দুধ সরবরাহ করে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। কমিটি অভিযোগ করেছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশি-বিদেশি উৎস থেকে নি¤œমানের দুধ কিনে তাতে ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে সরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে বিক্রি করে। তাই মিল্কভিটার বিক্রি বাড়াতে প্রচার ও এ বিষয়টি জনসাধারণকে জানানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছে কমিটি। গতকাল রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, মো. শাহে আলম এবং আব্দুস সালাম মূর্শেদী বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বর্তমান চরম গরমে পানি সরবরাহ বাড়াতে ও জনগণের খাওয়ার পানি নিশ্চিত করতে ওয়াসার চলমান কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করা, একই সঙ্গে কম খরচে বেশি মানুষের কাছে পানি পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। ভারী যানবাহন চলাচলে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কে ব্যারিকেড দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে একটি পরিপত্র জারির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য জানান, মিল্কভিটার প্রডাক্ট শতভাগ পিওর। এখানে ভেজালের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দেশি-বিদেশি নি¤œমানের দুধ কম দামে কিনে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছে। বিষয়টির সুষ্ঠু মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে তারা নি¤œমানের দুধ কিনছে। তিনি আমদানি করা দুধের ওপর ১০-১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নি¤œমানের দুধ কম দামে কিনে কন্ট্রামিনেশন (ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে) করে বাজারে বিক্রি করছে, যা জনসাধারণকে জানানো দরকার।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব বলেন, মিল্কভিটার বর্তমানে ৪ লাখ লিটার দুধ প্রসেস করার ক্যাপাসিটি রয়েছে। মিল্কভিটা গড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে দুধ সংগ্রহ করে। কিন্তু খামারিরা খোলা বাজারে দুধ বিক্রি করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭০-৯০ টাকা লিটারপ্রতি পায়। এ কারণে মিল্কভিটার দুধ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আবার ৫০ টাকার বেশি মূল্যে দুধ কেনা হলে ভোক্তা পর্যায়ে ১০০ টাকা লিটার মূল্যেও পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
এ সময় খামারি পর্যায়ে দুধের দাম বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার দাবি করেন মিল্কভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু। তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ভর্তুকি দেয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, সরকার এখন সব খাত থেকে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই সময়ে নতুন করে ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়