বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক শিক্ষক দম্পতিকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিকালে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বানা বাডিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক দম্পতি জানান, শিক্ষক রোজিনা আক্তারকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন তার ভাতিজা মেহেদী হাসান। এ সময় বখাটে যুবক তার গায়ের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাকে শ্লীতাহানির চেষ্টা করেন এবং ইটের আঘাতে ও কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এক পর্যায়ে তার চিৎকারে শিক্ষক স্বামী আজিজুর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও বেদম মারধর ও গলা চেপে ধরা হয়। এক পর্যায়ে তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় ভিকটিম রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে মেহেদী হাসান, সামছুদ্দিন প্রকাশ জাফর ও নাছিমা বেগমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত শনিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানার এসআই সাহেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেলেও রহস্যজনকভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেহেদী হাসান একজন সন্ত্রাসী ও নেশাগ্রগস্ত। সে শিক্ষক দম্পত্তিকে মারধর, নির্যাতন করে দুইজনকে হত্যার হুমকি দেয়। তাকে তার পরিবারের লোক উসকানি দিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, অভিযুক্ত যুবক ভারসাম্যহীন মানসিক রোগী। তবে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।