‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

চিকিৎসাধীন সিরাজুল আলম খানের অবস্থা অপরিবর্তিত

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢামেক প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খানের (দাদা ভাই) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে তাকে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আইসিইউর সামনে সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে নতুন ভবনের কেবিন থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
আইসিইউতে আনার পর একদিন তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। তবে এখন লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই রাখা হয়েছে তাকে। যদিও কথা বলতে পারছেন না তিনি। ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝাচ্ছেন। মুখে খাবারও খেতে পারছেন না। নাক দিয়ে টিউব দিয়ে তাকে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, চার দিন আগে তাকে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৪র্থ তলায় জেনারেল আইসিইউতে নেয়া হয়।
তার চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেই বোর্ডের চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখছেন তাকে। তবে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮২ বছর বয়সি সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রামণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ৭ মে থেকে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। পরে ২০ মে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালেও অসুস্থ হয়ে কিছুদিন তিনি ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা চিরকুমার সিরাজুল আলম খান ঢাকার কলাবাগানে ভাইদের সঙ্গেই থাকেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। পরে ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্রনেতারা।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভেঙে দুই ভাগ হয়।
এরপর ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল জাসদ প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি কখনও নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের পরামর্শক হিসেবে তাদের তাত্ত্বিক গুরু হিসেবে পরিচিত। তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়