‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

চালকের অভাবে গ্যারেজে অ্যাম্বুলেন্স : তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী বহনে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদুর রহমান জাবেদ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) থেকে : তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি চালকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে পড়ে রয়েছে। জটিল বা দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র বহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
জানা যায়, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুল মজিদ বাবু ক্যানসারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের জুলাই মাসে মারা যান। তার মৃত্যুর পর অ্যাম্বুলেন্সটি চালকের অভাবে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে গ্যারেজে পড়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সটি চালু না থাকায় হাসপাতালের অনেক জটিল ও কঠিন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় বা ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় বেসরকারিভাবে লক্কর-ঝক্কর মাইক্রোবাস নামক সাজানো অ্যাম্বুলেন্সগুলো রোগী বহনে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া এসব অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দূরবর্তী হাসপাতালে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে মাঝপথে গাড়ি নষ্টসহ রোগীর স্বজনদের নানারকম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুল মজিদ বাবুয়া হাসপাতালে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৭ জন রোগী বহন করেছেন। এ হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের অধিক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড় বা ঠাকুরগাঁও নিয়ে গেছেন। তার মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তার ব্যক্তিগত জিপগাড়ি চালককে দিয়ে মাঝেমধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি চালানো হতো এবং ২০২৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী বহন করা হয়েছে। কিন্তু বিধি অনুযায়ী জিপগাড়ি চালককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালানোর কোনো পরিপত্র না থাকায় কর্তৃপক্ষ চালকের অভাবে তা গ্যারেজবন্দি করে রেখেছে। এদিকে গাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে বন্দি থাকায় ইঞ্জিন বিকল হওয়াসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে জনসাধারণের দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মো. আলী এহসান বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালকের মৃত্যুর পর চালকের অভাবে গাড়িটি গ্যারেজে রাখা হয়েছে। অত্র হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সচালক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পত্র পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের মৃত্যুর পর গাড়িটি গ্যারেজে পড়ে আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাম্বুলেন্সটি জরুরি ভিত্তিতে চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়