করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি : এনভিডিয়া

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রযুক্তি দুনিয়ার বিস্তৃত পরিসরে এনভিডিয়া সম্পর্কে হয়তো সবাই অবগত নয় কিংবা শুনে থাকলেও বর্তমানে প্রযুক্তি জগতের বড় নামগুলোর পাশাপাশি মাথায় আসত না, কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) আকস্মিক উত্থানে প্রযুক্তি দুনিয়ায় বড় পরিবর্তন এসেছে। এনভিডিয়া হয়ে উঠেছে সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির একটি। প্রচলিত বড় কোম্পানিগুলো যেসব কারণে দাপট বিস্তার করত, এনভিডিয়া কোম্পানিটির মনোযোগ ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কোম্পানিটি বহু বছর ধরে গেমিং কনসোলের চিপ তৈরি করত, যা মূলত গেমের ভারী গ্রাফিকস নিয়ন্ত্রণে কাজ করত, কিন্তু কয়েক বছর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা গবেষকরা গেমের জন্য বিশেষায়িত চিপগুলো দিয়ে শক্তিশালী সব অ্যালগরিদম পরিচালনা করা শুরু করেন-
জিপিইউগুলো একই সঙ্গে অনেক ডাটা প্রক্রিয়া করতে পারে। সেগুলোকে মেশিন লার্নিং, ভিডিও এডিটিং এবং গেমিং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য উপযোগী করে তোলে?। প্রযুক্তি জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন সংস্করণ সৃষ্টির ফলে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির আয় আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে এনভিডিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আরো উন্নত এবং উচ্চতর পারফরম্যান্স ক্ষমতার নতুন চিপ নির্মাণের ঘোষণা দেয়। ফলে স্টক মার্কেটে এর মূল্যমান বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে ২৪ শতাংশ শেয়ার মূল্যবৃদ্ধি এনভিডিয়াকে ৯৪০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত করে। তুলনা করলে এটি ৫৮৫ বিলিয়নের টেসলা ও ৬৪৮ বিলিয়ন ডলারের ফেসবুককেও ছাপিয়ে গেছে। এ মুহূর্তে শুধু অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন এবং সৌদির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকোর পরে অবস্থান করছে। ১৯৯৩ সালে তিনজন কম্পিউটার চিপ প্রকৌশলীর হাত ধরে এনভিডিয়ার যাত্রা। তাদের ভাবনা ছিল কম্পিউটার উন্নত হওয়ার সঙ্গে এদের জটিলতর দৃশ্য প্রক্রিয়া করার ক্ষমতাও বাড়াতে হবে। ২০০০-এর গোড়ার দিকে কোম্পানিটি মাইক্রোসফটের এক্সবক্স গেমিং কনসোলের জন্য চিপ তৈরির চুক্তি পেয়ে এনভিডিয়া বাজিমাত করে ফেলে। এরপর থেকে এনভিডিয়ার ভিডিও গেম মার্কেটের আকার বিস্ফোরকভাবে বাড়তে থাকে। ছাপিয়ে যায় সিনেমা, টেলিভিশন এবং মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকেও। আকস্মিক এ উত্থানের কারণে বড় প্রযুক্তি কোম্পানি ও স্টার্টআপগুলো এনভিডিয়ার জিপিইউ চিপ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এ চিপগুলো বিপুল পরিমাণের ডাটা প্রসেস করতে পারে যা কিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সবচেয়ে উন্নত পর্যায়ের প্রোগ্রাম গুগলের পিএলএম-২ কিংবা ওপেন এআইয়ের জিপিটি-৪কে প্রশিক্ষণের জন্য দরকারি। এনভিডিয়া বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই তার এআইকেন্দ্রিক ব্যবসাকে ক্রমাগত বড় করছে, গত ছয় মাসে এর বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক আকারে। এআই মডেলের প্রশিক্ষণের জন্য অধিক মেমোরিবিশিষ্ট চিপগুলোর চাহিদা রয়েছে বলে জানান আকাশ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ওসুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়