গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

মধ্যনগরের চাপাইতি বিদ্যালয় : তিন কক্ষে চলে নয় শ্রেণির পাঠদান

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : কথায় আছে ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা’ এমনই অবস্থা সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চাপাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত বিদ্যালয়টিতে পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, নেই পানীয়জলের ন্যূনতম ব্যবস্থা আর শ্রেণিকক্ষের সংকট তো আছেই। বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের ৩টি শ্রেণিকক্ষে চলছে ৯টি শ্রেণির পাঠদান। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম।
জানা যায়, ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৮ বছর করা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সারাদেশে মোট ৬২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক পর্ব চালু করা হলে ওই বিদ্যালয়টিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালুর অনুমোদন পায়। সেই থেকেই সীমাহীন সমস্যায় জর্জরিত এ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ হলেও ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি অর্থাৎ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো ও অর্থের সংস্থান কোনোটাই নেই। ফলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করতে গিয়ে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা এ বিদ্যালয়ের। দেখার কেউ নেই, নেই কোনো পরিত্রাণদাতা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি শ্রেণিকক্ষে তৃতীয় শ্রেণি ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসেছে। শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বিষয়ে পাঠদান করছেন। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বসে তা উপভোগ করছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন, বিদ্যালয়টিতে চারজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। নানাবিধ সংকটের কারণে কর্মরত শিক্ষকরা চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী পাঠদান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, স¤প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে পানীয়জলের সংকট দূরীকরণ করতে একটি নলকূপ স্থাপনের ব্যবস্থা করে দেন। শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এসএমসি’র সদস্য আবুল কাশেম বলেন, বিদ্যালয়টি মাত্র ৯ শতাংশ জমির ওপর স্থাপিত। তবে স¤প্রতি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ১০০ মিটার দূরে ৩০ শতক জমি দান করা হয়েছে। একটি বহুতল ভবন নির্মাণ ও জনবল নিয়োগসহ সব সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, বিদ্যালয়টির নানাবিধ সমস্যার সমাধান করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম ইতোমধ্যেই সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। আশা করি বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়