গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

বেতাগী-ভাংরা সেতু এখন মরণফাঁদ : দশমিনায় ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিপুল কর্মকার, দশমিনা (পটুয়াখালী) থেকে : দশমিনা উপজেলার বেতাগী-ভাংরা সংযোগ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভগ্নদশার কারণে সেতুটি দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বেতাগী-ভাংরা সংযোগ সেতুটি দশমিনা-বাউফলের অন্যতম সংযোগ সেতু হওয়ায় ওই এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুর পশ্চিম দিকে রয়েছে দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রাম। আর পূর্ব দিকে বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রাম। ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩ মিটার প্রস্থের সেতুটি দুই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ কয়েকশ মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। কংক্রিটের ঢালাইয়ে নির্মিত সেতুটির বিভিন্নœ স্থানের ঢালাই ধসে গিয়ে রডের জাল বেরিয়ে গিয়ে হেঁটে চলাচল করাও বন্ধ হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন অংশের দুই পাশের রেলিং। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের অবস্থাও নাজুক। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় সংযোগ সড়কের মাটি সেতু থেকে দুই-তিন ফুট নিচে দেবে গেছে।
ভাংরা গ্রামের জয়নাল হাওলাদার বলেন, বৃদ্ধ, শিশু এবং মহিলারা এই সেতুতে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। বেতাগী গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, অর্ধ যুগেরও বেশি সময় পর্যন্ত সেতুটি এ অবস্থায় পড়ে আছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
ওই এলাকার ইয়াসমিন বেগম বলেন, সেতুর এই অবস্থার হওয়ার কারণে আমার অসুস্থ মাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছি না।
এ ব্যাপারে বেতাগী সানকীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মসিউর রহমান ঝন্টু বলেন, সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আমি সংসদ সদস্যের সঙ্গে সেতুটির ব্যাপারে কথা বলেছি। তিনি সেতুটি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, সেতুটি নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়