গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

কর্ণফুলী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে সড়কে মজুত : এলাকাবাসীর চলাচলে ভোগান্তি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। নদীঘেঁষা বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক দখল করে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। সড়ক বন্ধ করে ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলছে লোডিং-আনলোডিং। এসব বালুখেকোদের অপতৎপরতায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, খেলারঘাট এলাকার বালু উত্তোলনকারী বাবুল, স্লুইচ গেট এলাকার উজ্জ্বল দেবনাথ, খালেক মেম্বার, খেলারঘাটের পলাশ, লাম্বুর হাটের আরিফসহ একাধিক ব্যক্তির একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে একদিকে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, ঘটছে প্রাণহানিও।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুর হাট, খেলারঘাট, পাঁচখাইন, সৈয়দপাড়া ও উভলংসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বালুমিশ্রিত পানির নিচে পড়েছে সড়ক। অবৈধভাবে উত্তোলন করা হাজার হাজার ঘনফুট বালুর ট্রাক, চাঁদের গাড়িসহ বিভিন্ন পরিবহনযোগে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা সড়কে হাঁটতে পারছি না। বালুর স্তূপের পাশে সড়কের উপর বালুমিশ্রিত পানির কারণে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গ্রিসচন্দ্র বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাক ও চাঁদের গাড়ির কারণে সড়কের ক্ষতিসহ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
অটোচালক গিয়াস উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক থেকে বাগোয়ান যাওয়ার যে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো রয়েছে- প্রতিটি সড়কে বালু থাকে। কোথাও কোথাও বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আবার কোথাও পরিবহন থেকে পড়ে রাস্তা ঢাকা পড়ছে। বালুর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে অহরহ।
বালু উত্তোলনকারী বাবুল বলেন, বোয়ালখালী উপজেলার রাজামিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে নাজিরার চর থেকে কিনে আমরা বিক্রি করি। আমরা ৮-১০ জন মিলে এ ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু উত্তোলনকারীদের কারণে সড়ক নষ্ট হওয়ার বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়