টিসিবির জন্য চিনি ও ভোজ্য তেল কিনবে সরকার

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোন পথে : মূল্যস্ফীতি > ডলার সংকট > বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ভর্তুকি ব্যয় > কর ও ব্যক্তি করদাতা বাড়ানো

পরের সংবাদ

মৎস্য আহরণোত্তর পরিচর্যাকেন্দ্র এখন নির্মাণসামগ্রীর গোডাউন!

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : দাউদকান্দিতে মৎস্য আহরণোত্তর পরিচর্যা কেন্দ্র নির্মাণের ৩ বছরেও চালু হয়নি। প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি কোনো কাজে আসছে না স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের। এটি এখন নির্মাণসামগ্রীর গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি, নির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটির স্থান নির্বাচন এবং জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে নারাজ। নির্মাণের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো মৎস্য ব্যবসায়ী কেন্দ্রে ব্যবসা করতে রাজি হচ্ছেন না।
জানা যায়, ২০১৯ সালে দাউদকান্দির দোনারচর এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তর ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত মৎস্য আহরণোত্তর পরিচর্যা কেন্দ্রটি নির্মিত করে। ৮ শতাংশ ভূমির ওপর সীমানা প্রাচীর, অকশন শেড, প্যাকিং শেড, ৮টি আড়ত ঘর, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, গভীর নলকূপ, আইস ক্রাসারসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় নির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের ৩ বছর পার হলেও কোনো ব্যবসায়ী অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে আসছেন না। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর দক্ষিণ পাশে নতুন ফেরিঘাট নামে পরিচিত পুরনো নৈশকালীন মৎস্য বাজারে আড়ত রয়েছে প্রায় ৪০টি। প্রতিটি আড়তে মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ও প্রসেসিং করার মতো নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আল্লাহর দান মৎস্য আড়তের মালিক হাজি কাউসার আলম এবং ওমর আলী মৎস্য আড়তের মালিক ওমর আলী বলেন, আমরা যেখানে আছি সেখানে ৫০ বছর ধরে আড়তদারী ব্যবসা। সরকার তিন বছর আগে নতুন একটি ভবন তৈরি করেছে। সেখানে ব্যবসায়ীদের যাওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছে। কিন্তু আমরা পুরনো মৎস্য আড়তেই ভালো আছি। তারা বলেন, নির্মিত মৎস্য আহরণোত্তর পরিচর্যা কেন্দ্রে মাছ রাখা বা প্রসেসিং করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। যদিও আগের মতো মিঠা পানির মাছ এখন আড়তগুলোতে আসে না। তবুও পুরনো মৎস্য আড়তের ৪-৫ জনের আড়তে যে পরিমাণ মাছ আসে সে পরিমাণ মাছ দিয়ে নির্মিত পুরো ভবনের জায়গা ভরে যাবে। উপজেলা মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়া বলেন, ৫০ বছর আগের পুরনো মৎস্য আড়তে সবাই ব্যবসা করছি। তবে ২-৩ বছর আগে সরকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য যে ভবনটি তৈরি করেছে, সেটিতে আমাদের সব ব্যবসায়ীর জায়গা হবে না। আবার আরেকটি সমস্যা হলো, আমাদের আড়তে মাছের ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই রাতে আসে, তাদের সঙ্গে টাকা-পয়সা থাকে বিধায় তারা মহাসড়কের পাশে ছাড়া অন্য কোথাও কোনো আড়তে মাছ কিনতে বা বেচতে যায় না। আর এটি নির্মাণের সময় আমাদের সমিতির আগের নেতারা মহাসড়কের পাশে যে জায়গাটি দেখিয়েছিলেন, সেখানে নির্মাণ করা হলে হয়তো এখন সেটি ব্যবহার করতে পারতাম।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত মৎস্য আহরণোত্তর পরিচর্যা কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের নেয়ার জন্য কয়েক দফা বৈঠক করেছি তাদের সঙ্গে। বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে তারা সেখানে যাচ্ছে না। আর এটি নির্মাণ বা স্থান নির্বাচনে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে। যেহেতু কোনো ব্যবসায়ী এখানে আসেনি, তাই তালাবদ্ধ রয়েছে। তবে ভেতরে কারা নির্মাণসামগ্রী রেখেছে কিনা জানি না। বিষয়টি খবর নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়