কাগজ প্রতিবেদক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফৌজদারি মামলা দায়েরের ক্ষমতার ওপর জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি এখন থেকে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
গতকাল বুধবার বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বিজিবি। ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। ওই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার একটি আদালত। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান। গত মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানিতে বিজিবির ফৌজদারি মামলা দায়ের করার আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়। জবাবে আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না।

শুনানি শেষে বিজিবি কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী ১৪ জুন এই রুলের ওপর শুনানির দিন রাখা হয়। এর মধ্যে গতকাল স্বপ্রণোদিত হয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আদালত।