টিপু হত্যা মামলা : আসামি জিতুর জামিন শুনানি মুলতবি

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু ভোটে সন্তোষ প্রকাশ স্থানীয়দের

পরের সংবাদ

চসিকের সাধারণ সভা : খাওয়ার পানির সংকট ও বৃষ্টিতে জলজট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভাজুড়ে খাওয়ার পানির সংকট ও জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভমিশ্রিত আলোচনা করেছেন কাউন্সিলররা। তারা তুলে ধরেছেন নগরবাসীর দুর্ভোগ আর আসন্ন বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শঙ্কার কথা। গতকাল বুধবার ওই সভায় নগরীর আরো বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনার মূল বিষয় ছিল খাওয়ার পানির সংকট ও বৃষ্টিতে জলজটের শঙ্কা।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) আর ওয়াসার সমন্বয়হীন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ জানিয়ে সভায় কাউন্সিলররা জানান, সরকারি সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় না থাকলে জাতীয় নির্বাচনে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জবাবে চউক, ওয়াসাসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের গৃহীত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সংকট সমাধানে সভায় উপস্থিত চউক প্রতিনিধির উদ্দেশে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চউকের প্রকল্পে সেনাবাহিনী কাজ করছে। তবে এ প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব চউকেরই। বারবার বলার পরও এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন খালে জমা মাটি উত্তোলন না করায় এবার বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার হুমকিতে আছে চট্টগ্রাম। জন অসন্তোষের কথা মাথায় রেখে চউকের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া ৩৭ নং উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে স্লুইসগেট সংস্কার না করায় বন্যায় শহরে সমুদ্রের পানি ঢোকার ঝুঁকি আছে। এ বিষয়ে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ওয়াসার প্রতিনিধির উদ্দেশে মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রাম ওয়াসার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নতুন তৈরি করা রাস্তা কেটে জনভোগান্তি তৈরি করছে ওয়াসা। ফলে নষ্ট হচ্ছে সরকারের বাজেট আর সৃষ্টি হচ্ছে জন অসন্তোষ। কুরবানির ঈদের আগেই হাটহাজারী সড়কে ওয়াসার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। কারণ এই পথ দিয়ে একদিকে কুরবানির পশু বিবিরহাট বাজারসহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায়, অপরদিকে এই পথ দিয়ে কুরবানির বর্জ্য শহর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া এ পথ দিয়ে আতুরার ডিপোর কারখানাগুলো চামড়া পরিবহন করতে না পারলে আর্থিক ক্ষতি ও শহরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।

কুরবানির ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরো গতিশীল করতে চসিকে ১০০টি ভ্যানগাড়ি যুক্ত হচ্ছে বলেও জানান মেয়র। এ সময় চসিকের কার্যক্রমে গতি আনতে নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় একাধিক কাউন্সিলর আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মেয়রকে আহ্বান জানান। জবাবে মেয়র বলেন, একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পরিচালক চসিকে আসছেন না। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রকল্প পরিচালক না থাকায় এই বিশাল প্রকল্পের বিল দেয়া, কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। আমি আজকেই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব।
সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলররা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন, ওয়াসার প্রতিনিধি মো. নুরুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখাপ্রধানরা এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়