বঙ্গবাজার ও ঢাকা ট্রেড সেন্টারে অবৈধ বরাদ্দ : শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আফজালের বিরুদ্ধে

আগের সংবাদ

যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ : এনইসি সভায় ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

পরের সংবাদ

প্রাইম ব্যাংক-শেখ জামালের জয় : শিরোপার পথে আবাহনীর হোঁচট

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে গতকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ছয় উইকেটে হেরে যায় আবাহনী লিমিটেড। এই হারে শিরোপা জয়ের পথে খানিকটা হোঁচট খেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। অপরদিকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এছাড়া লিগের আরেক ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে বৃষ্টি আইনে ৫৯ রানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে জিততে পারলে শিরোপা এক প্রকার নিশ্চিত হতো আবাহনীর। লিগের ১৫ ম্যাচ শেষে ১৩ জয় ও দুই হারে তাদের পয়েন্ট ২৬। আর সমান ম্যাচে সমান ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গাজী গ্রুপকে হারাতে পারলে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থাকত আফিফ-নাঈমরা। ফলে আগামী ১৩ মে মিরপুরে আবাহনী বনাম শেখ জামালের ম্যাচটি হবে এই আসরের অলিখিত ফাইনাল।
গাজী গ্রুপের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৭.২ ওভার ২৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান তোলে তারা। এরপর ৬৪ বলে ৬১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাঈম। ওয়ানডাউনে নামা আফিফ হোসেন ২১ বলে ১১ রান করে আউট হন। আরেক ওপেনার বিজয় বিদায় নেন ৫৬ বলে ৪৩ রান করে। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। এই চাপ আর সামাল দিতে পারেননি মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। এর মাঝে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ২৬ রানের ইনিংস। আর শেষদিকে রাকিবুল হাসানের ১৬, তানজিম হাসান সাকিবের ১৪ এবং খুশদিল শাহর ১২ রানের সুবাদে লড়াকু পুঁজি গড়তে সক্ষম হয় শিরোপাপ্রত্যাশী এই দলটি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ৪৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন টিপু সুলতান। ২ উইকেটের দেখা পান জয়নুল ইসলাম। আর একটি করে উইকেট নেন সুমন খান এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব।
২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গাজী গ্রুপের। ওপেনার মেহেদী মারুফ দারুণ শুরু করলেও থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। ৫ বলে মাত্র ৮ রান করেই বিদায় নেন তিনি। এরপর ওয়ানডাউনে নেমে ৩৮ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন ফরহাদ হোসাইন। মেহেদী মারুফ আউট হন ১৯ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। মাত্র ৮৭ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে তারাও চাপে পড়ে। তবে চতুর্থ উইকেটে এসে প্রতিরোধ গড়েন এস এম মেহরব এবং আবদুল্লাহ আল গালিব। দুজনে মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। হাফসেঞ্চুরির পর ৬৭ বলে ৫২ রান করে তানভির ইসলামের বলে ফিরে যান মেহরাব। আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান তাড়া করতে থাকেন আবদুল্লাহ আল গালিব। এরপর বৃষ্টি নামলে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পরে বৃষ্টি থামলে গাজী গ্রুপের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৫ ওভারে ২১৪ রানের। সেই লক্ষ্য ৪১.৫ ওভারেই অনায়াসে অতিক্রম করে তারা। ৯৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আবদুল্লাহ আল গালিব। ২৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন আকবর আলী।
অপরদিকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে পাত্তাই দেয়নি প্রাইম ব্যাংক। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭.৩ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ইমরুল কায়েসের দল। কাশিফ ভাট্টি, রেজাউর রহমান রাজা ও নাসির হোসেনের বোলিং তোপে থিতু হতে পারেননি মোহামেডানের কোনো ব্যাটার। ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ভাট্টি আর ২২ রানে ৩ উইকেট নেন রাজা। ২টি উইকেট শিকার করেন নাসির। আর একটি উইকেট নেন সাইফুল ইসলাম। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন রুবেল মিয়া। আর শেষদিকে মুশফিক হাসান, খালেদ আহমেদ ও নাজমুল অপুর চেষ্টায় ১০০ রান পার করে মোহামেডান। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ১১০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন জাকির হাসান ও শাহাদাৎ হোসেন দিপু। ৩০ রান করে দিপু বিদায় নিলেও তিনে নামা মিঠুনকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জাকির। ১৯ রানে আউট হন জাকির। এই ওপেনার ফিরে গেলেও প্রান্তিক নওরজ ও মিঠুন মিলে দলকে ১০০ এর ঘরে নিয়ে যান। জয় থেকে খানিক দূরে থাকাকালীন ফিরে যান দুজনই। প্রান্তিক ২৬ বলে ৩০ এবং মিঠুন ২৫ বলে ১৬ রানে ফিরে যান। এরপর নাসির হোসেনের অপরাজিত ১০ ও আল আমিন জুনিয়রের অপরাজিত ২ রানে ১৭৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটার্সের। মোহামেডানের হয়ে ৩৯ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন অপু।
এছাড়া লিগের অপর ম্যাচে মাশরাফির লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দলের হয়ে সেঞ্চুরির দেখা পান সৈকত আলী। ৮১ বলে ১০৮ রান করেন এই ওপেনার। পরে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে রুপগঞ্জের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬.১ ওভারে ২৫৫ রান। তবে ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরির পরেও নির্ধারিত ওভারে তারা তুলতে পারে ২৫৫ রান। ডিএল মেথডে ৫৯ রানের জয় পায় শেখ জামাল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়