বঙ্গবাজার ও ঢাকা ট্রেড সেন্টারে অবৈধ বরাদ্দ : শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আফজালের বিরুদ্ধে

আগের সংবাদ

যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ : এনইসি সভায় ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

পরের সংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল : এগিয়ে যাওয়া রিয়ালকে রুখে দিল ম্যানসিটি

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে প্রথমার্ধে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সমতায় ফেরে সিটি। আগামী ১৭ মে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইতিহাদে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালের ওপর আক্রমণ করে খেলতে থাকে সিটিজেনরা। গতিময় ও পাসিং ফুটবল খেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের একটু চাপে রাখে ইতিহাদের ক্লাবটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে রিয়ালকে প্রথম গোল হজম থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া রদ্রির কোনাকুনি শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তিনি। প্রথমদিকে চাপে পড়লেও আস্তে আস্তে খেলায় ফিরতে শুরু করে রিয়াল। ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় তারা। এরপর ম্যাচের ২৫ মিনিটে ভিনিসিয়াসের দুর্দান্তভাবে বাড়ানো বল বেনজেমার কাছে পৌঁছানোর আগেই দারুণভাবে ক্লিয়ার করেন সিটির ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে পাল্টাআক্রমণ থেকে বেনজেমার উদ্দেশে দারুণ এক পাস বাড়ান ফেদে ভালভার্দে। তবে হাত লাগিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় হ্যান্ডবলের ফাঁদে পড়েন তিনি। এর দুই মিনিট পরেই ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বার্নাব্যুকে উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন ভিনিসিয়াস। এডুয়ার্ড কামাভিঙ্গার পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
ভিনির এই নান্দনিক গোলে গ্যালারি পুরোপুরি বদলে যায়। মুষড়ে পড়া গ্যালারি মুহূর্তের মধ্যে জেগে ওঠে। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৪৯ মিনিটে আবারো দারুণ এক আক্রমণে যায় রিয়াল। ডি-বক্সে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়ে শট নেন বেনজেমা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই শটে জালের দেখা পায়নি রিয়াল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত সিটি। তবে ডি ব্রুইনার সেই আক্রমণ প্রতিহত করেন কোর্তোয়া। এরপর ম্যাচের ৫৫ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন হলান্ড। তবে শট নেয়ার আগেই তাকে থামিয়ে দেন ডেভিড আলাবা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন ডি ব্রুইনা। ডি-বক্সের বাইরে ইলকাই গুন্দোয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতিতে শটে বল জালে জড়ান তিনি। এই গোলে সমতা ফেরে ম্যাচে। এরপর পোস্টের কাছাকাছি জায়গা থেকে নেয়া বেনজেমার হেড দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন এডারসন। শেষ দিকে এক হাতে চুয়ামেনির আরেকটি প্রচেষ্টা ফেরান সিটি গোলরক্ষক। শেষদিকে বেশ কয়েকটি জোরালো আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। ঘরের মাঠে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনার প্রশংসা করে সিটিজেনদের কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘ডি ব্রুইনা আমাদের অনেক বড় এক সম্পদ। সে দুর্দান্ত এক খেলোয়াড় এবং সে নিজেকে তখনই উজাড় করে দেয়, যখন তাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়ই গোলটি করেছেন ডি ব্রুইনা। রিয়াল মাদ্রিদ তখন বল দখলে রেখে খেলায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। ম্যানচেস্টার সিটিকেও তেমন আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল না। আমরা ওই সময় বেশ ধুঁকছিলাম। গোলটি করে ডি ব্রুইনা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমরা সে সময় রিয়ালকে চোখ রাঙিয়েছি। আমরা ভালো আক্রমণের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলাবা ও রুডিগার কড়া নজরদারিতে রাখেন আর্লিংকে। তাদের ফাঁকি দিয়ে গোলের সুযোগ বের করা সহজ ছিল না। দ্বিতীয় লেগে আমাদের এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে ও ছন্দ নিয়ে খেলতে হবে। আমাদের শুরুটা বেশ ভালো ছিল। তবে ভিনিসিয়াস বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ফিনিশিং টেনেছে। পরে তারা যখন আমাদের চেয়ে ভালো খেলতে শুরু করল তখনই আমরা গোল করতে পেরেছি। এখন আমরা ম্যানচেস্টারে খেলব, যেটি হবে ফাইনাল ম্যাচ।’
অপরদিকে ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ডি ব্রুইনার ওই সমতায় ফেরানো গোল নিয়েই আছে বিতর্ক। যে আক্রমণ থেকে গোল পেয়েছেন ডি ব্রুইনা, সেই আক্রমণের সময়ে বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আনচেলত্তি বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছিল বল বাইরে ছিল। এটা আমি বলছি না। প্রযুক্তি বলছে। এর আগে একটা কর্নার হয়েছিল, রেফারি সেটাও দেয়নি। রেফারি আসলে মনোযোগী ছিলেন না। রেফারি আমাকেও একটা হলুদ কার্ড দিয়েছে। আমি তাকে বলেছি, কার্ড মাঠে দিতে, মাঠের বাইরে না। বল বাইরেই ছিল। মাঠে ফুটবলারদের আরো বেশি কার্ড প্রাপ্য। আমরা ভালো লড়াই করেছি। সম্ভবত জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। ভালো ম্যাচ ছিল, তবে ফলাফল আমাদের পুরস্কৃত করেনি। বল সিটির নিয়ন্ত্রণে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য আমাদের পাগলামি করলে চলবে না। গোলের পর অবশ্য আমরা ভালো খেলেছি। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি কিছুটা সময়। আমরা খুবই ভালো খেলেছি। আশা করি দ্বিতীয় লেগেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়