বঙ্গবাজার ও ঢাকা ট্রেড সেন্টারে অবৈধ বরাদ্দ : শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আফজালের বিরুদ্ধে

আগের সংবাদ

যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ : এনইসি সভায় ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

পরের সংবাদ

আইসিসির আয় মডেলের অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) গতকাল তাদের আগামী চার বছরের আয়ের মধ্যে কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড কত পাবে তার মডেল প্রস্তাব করে। সেই মডেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। মডেল অনুযায়ী বিসিবি আইসিসির আয়ের ৪.৪৬ শতাংশ অর্থ পাবে আগামী চার বছরে। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রাক্কলিত অর্থের পরিমাণ ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী বিসিবি পাবে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত মডেলটি ২০২৪-২৭ চক্রে বাস্তবায়িত হবে।
আইসিসি প্রস্তাবিত মডেল অনুযায়ী সর্বোচ্চ অর্থ পাবে ভারত। ৩৮.৫ শতাংশ আয় নিয়ে তারা মডেলের শীর্ষে অবস্থান করছে। অর্থের অঙ্কে দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাবে ২৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে আইসিসির একটি দল এবং পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের ফিন্যান্স এন্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি রাজস্ব বণ্টনের এই কাঠামো তৈরি করেছে, যা গত মার্চে আইসিসির বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। চারটি মানদণ্ড ধরে আইসিসি এই আয় বণ্টন করেছে। এগুলো হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট ইতিহাস, আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে ছেলে ও মেয়েদের আসরে গত ১৬ বছরের পারফরম্যান্স, আইসিসির বাণিজ্যিক আয়ে অবদান এবং আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে নির্ধারিত অর্থ, যেটি সব দেশেরই সমান।
আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোয় পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে মূলত মানদণ্ড ধরা হয়েছে নকআউট পর্বের পারফরম্যান্সকে। সেখানে সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়া (২১.৯ শতাংশ)। তাদের পরে আছে ইংল্যান্ড (১৮.৫ শতাংশ) ও ভারত (১৭.৪ শতাংশ)। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এখানে অন্তর্ভুক্ত নয়। এই হিসাবে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে আইসিসির বাণিজ্যিক আয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ভারত। ক্রিকেটের বৈশ্বিক সংস্থাটির বাণিজ্যিক আয়ের ৮৫.৩ শতাংশ বিসিসিআইয়ের বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করবে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আইসিসির বার্ষিক আয়ের ৬.৮৯ শতাংশ তথা ৪ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার যাবে তাদের ঘরে। এর পরের নামটা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। দেশটির সম্ভাব্য বার্ষিক আয় ৬.২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের বেশি। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে বিসিসিআই, ইসিবি ও সিএর পর ৫ শতাংশের বেশি আয় করা চতুর্থ বোর্ড পিসিবি। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ পেতে যাচ্ছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের (৫.৭৫ শতাংশ) বেশি। অন্যদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের এনজেডসি প্রায় ২ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার, শ্রীলঙ্কার এসএলসি ২ কোটি ৭১ লাখ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিডব্লিউআই ২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার পাবে।
পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে কম পাবে আফগানিস্তান, এক কোটি ৬৮ লাখ ডলার (২.৮০ শতাংশ)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়