আরাভ খানের অস্ত্র মামলার রায় ৯ মে

আগের সংবাদ

রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব : ৪ ভাগ বাড়িতে এডিস মশা, বেশি দক্ষিণে, সমন্বিত কার্যক্রম চালাবে দুই সিটি

পরের সংবাদ

নিখোঁজের পর দিন লাশ মিলল ধানমন্ডি লেকে

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিখোঁজের একদিন পর রাজধানীর ধানমন্ডি লেক থেকে এ.বি. ইমতিয়াজ আহমেদ খিলজি (৫৭) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে ফার্মাসিস্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন। মরদেহের হাতে কাটা চিহ্ন রয়েছে বলে জানালেও ঘটনাটি হত্যা নাকি ছিনতাই বা অন্য কোনো ঘটনা তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা নাম্বার ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধানমন্ডি লেকে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে ইমতিয়াজ যখন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়েছিলেন তখন তার সঙ্গে একটি শপিং ব্যাগ ছিল। তিনি একটি রিকশায় চড়ে লেক এলাকায় পৌঁছান ও তারপর লেক চত্বরের ভেতরে চলে যান। ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মো. রাসেল জানান, ইমতিয়াজ পরিবার নিয়ে ধানমন্ডির ৩ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাড়ির অষ্টম তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার দুই স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীও ধানমন্ডি এলাকাতেই অন্য বাসায় থাকেন। দুই স্ত্রী থাকায় পারিবারিক ঝামেলা চলছিল তাদের। তিনি আরো জানান, গত রবিবার ধানমন্ডির বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়েছিলেন ইমতিয়াজ। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। এ জন্য নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। সবশেষ গতকাল সোমবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের হাতের তালুর উল্টো পাশে একটি কাটা দাগ রয়েছে। ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে কোনো কারণে তার চাকরি চলে যায়। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

গত রবিবার সকাল ৫টা ৩৮ মিনিটে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর তার খোঁজ মিলছিল না। তবে সিসি ক্যামেরায় তাকে ধানমন্ডি লেকের দিকে আসতে দেখা যায়। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ধানমন্ডির লেক থেকে উদ্ধার হওয়া ইমতিয়াজ আহমেদের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ সময় মর্গে ইমতিয়াজের ছোট ভাই ইন্তেখার আহমেদ খিলজি জানান, তাদের বাড়ি মীরপুরের মনিপুরে। ইমতিয়াজ ধানমন্ডি ৩ নম্বর রোডে নিজের ফ্ল্যাটে স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা ও ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। আর বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করেন। জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন ইমতিয়াজ।
তিনি আরো জানান, প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন তার ভাই ইমতিয়াজ। গত রবিবারও ভোরে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। অফিসসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পান, ধানমন্ডি লেকে একটি মৃতদেহ ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে তার মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহের উদ্ধারের পর সেখানে এক নারী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ইমতিয়াজের স্ত্রী। কিন্তু ওই নারীকে তারা কেউ চেনেন না ও আগেও কখনো তার সম্পর্কে কিছুই শুনেননি। কীভাবে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে তাও ধারণা করতে পারছেন না তারা।
এর আগে ২৩ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডি লেকের পাশে রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় শাহাদাত হোসেন মজুমদার (৫১) নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ সময় তার কাছ থাকা একটি মোবাইলফোন, ২ হাজার টাকা ও একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় জড়িত চার কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। তখন গ্রেপ্তারকৃতরা জানায় ছিনতাইয়ের সময় ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয় তার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়