আরাভ খানের অস্ত্র মামলার রায় ৯ মে

আগের সংবাদ

রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব : ৪ ভাগ বাড়িতে এডিস মশা, বেশি দক্ষিণে, সমন্বিত কার্যক্রম চালাবে দুই সিটি

পরের সংবাদ

গাজীপুর সিটি নির্বাচন : কাউন্সিলর পদে প্রার্থী একঝাঁক নতুন মুখ

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম নজরুল ইসলাম, গাজীপুর থেকে : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুরনো কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন এক ঝাঁক নতুন মুখ। নতুন এসব কাউন্সিলর প্রার্থী এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রæতি। আর পুরনো কাউন্সিলর প্রার্থীরা বলছেন, অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়তে তারা নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ৭৬ জন। এসব প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ ও নতুন মুখ। পুরনো কাউন্সিলরদের মধ্যে ক্ষেত্রবিশেষে ৩-৪ জন এবার নির্বাচনে অংশ না নিলেও বাকি সবাই রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। ফলে নতুন-পুরাতন কাউন্সিলরদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি প্রচারণা, দিচ্ছেন নানা উন্নয়ন প্রতিশ্রæতি। ফেসবুকসহ নানা যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা ছাড়াও কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন প্রার্থীরা। সিটির ৫৭ টি ওয়ার্ডেই জম জমাট প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। সাধারণত দুপুরের পর থেকে গভীর রাত অবধি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, নগরীর রাস্তাঘাট এখনো বেহাল, নেই ড্রেনেজসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এ অবস্থার অবসান চাইছেন তারা। তারা বলছেন, টেকসই উন্নয়নে কাজ করবেন, সুখে দু:খে তাদের পাশে থাকবেন এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া নতুন প্রার্থীরা আগের কাউন্সিলদের কাজের নানা সমালোচনা করে নগর উন্নয়ন ও নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রæতি।
এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মোল্লা। আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই প্রার্থী বলেন, ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩ নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে কম কাজ হয়েছে। ১০ বছরেও কলাবাগান, ইটাহাটার রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। লাঠিভাঙা, কালারকুর, ইটাহাটার অনেক রাস্তা এখনো বেহাল। এ অবস্থায় মানুষ অনেক কষ্টে চলাচল করছে। এজন্য একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি প্রার্থী হয়েছি। এ প্রসঙ্গে আগের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম সরকার বলেন, আমি দুইবার জনগনের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এখানে কাউন্সিলর হয়েছি। এখানে রাস্তাঘাটসহ শতকরা ৮০ ভাগ উন্নয়ন কাজ হয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এ নির্বাচনে বিজয়ী হলে ইনশাল্লাহ অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করব। এভাবেই আগের মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী অধিকাংশ কাউন্সিলর বলছেন, অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে তারা নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। নগর উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চাইছেন তারা। ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা বলেন, রাস্তাঘাট, ড্রেনেজসহ নানা উন্নয়ন কাজ করেছি। এখন এই ওয়ার্ডে একটি কবরস্থান প্রয়োজন। কবরস্থানসহ নগর উন্নয়নে বাকি কাজ সম্পন্ন করা ছাড়াও নগরীকে মাদকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে কাজ করব।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে অবাধ করার লক্ষে নানা নির্দেশনা দিচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে সেই নির্দেশনা মেনে কাজ করছি।
এখনো কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে ১৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

আশা করছি পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মে। ৯ মে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়