রাজউক : মুছে যাওয়া সাড়ে ২৬ হাজার নথি উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাজারে ফের সিন্ডিকেটের থাবা! : কারসাজি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম, নজরদারি জোরদারের তাগিদ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

আবারো বেড়েছে চিনির দাম

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এর মধ্যে ১০ দিনের ব্যবধানে খোলা চিনির দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর রাজধানীর বাজারে খোলা চিনির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, কোথাও আরো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ছিল সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা। খোলা চিনি কিছুটা পাওয়া গেলেও প্যাকেটজাত চিনি মিলছে না বাজারে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের পর থেকে কোনো চিনির সরবরাহ নেই। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা অন্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনির সরবরাহ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ সংকটে বাজারে চিনির দামে এ অস্থিরতা চলছে। তবে মিল মালিকরা বলছেন, দেশে চিনির কোনো সংকট নেই তবে বিশ্ব বাজারে দাম বেশি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে দেখা গেছে, এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর এক বছরে বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার চিনিকলের মালিকরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক চিঠির মাধ্যমে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মিল মালিকরা পণ্যটি আমদানির সাহস পাচ্ছেন না। দেশে ভোজ্যতেল ও চিনির উৎপাদক গুটি কয়েক কোম্পানি। দুটি সংগঠন গঠন করে পৃথক প্রস্তাবে তারা চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকা বাড়ানো এবং ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন।
গত কয়েক মাস ধরেই বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে মিলগুলো। এমনকি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে বাজারে প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে বেশিরভাগ মিল। সরকার প্রতি কেজি চিনির দাম ১০৪ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে তা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দোকানদাররা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে চিনি পাচ্ছেন না তারা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি ৬৭৫ মার্কিন ডলারে বেচাকেনা হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ৫২০ ডলার। এ অবস্থায় সমিতির সদস্যরা অপরিশোধিত চিনি আমদানির এলসি খুলতে ভয় পাচ্ছেন।
কারওয়ান বাজারের মুন্না জেনারেল স্টোরের স্বত্তাধিকারী সালাম হোসেন বলেন, প্যাকেটজাত চিনি অনেক দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা চিনি পাইকারি পর্যায়ে কেনা ১৩০ টাকার বেশি। এরপরও ক্রয় রসিদ দিচ্ছেন না ডিলাররা। খিলগাঁও বাজারের বিক্রয়কর্মী মনির বলেন, কয়েক মাস ধরেই বাজারে চিনির সংকট। ঈদের পর সংকট যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে দামও। আমরা বিক্রি বন্ধ রেখেছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মফিজুল হক বলেন, কোম্পানিগুলো জানিয়েছে চিনির উৎপাদন নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন প্রতি টন অপরিশোধিত দাম দাঁড়িয়েছে ৬৭০ ডলারে, যা আগে থেকে প্রায় ১০০ ডলার বেশি। তাই আমদানি কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়