সুদান পরিস্থিতি : বাংলাদেশিসহ ৫২ জনকে উদ্ধার করল সৌদি আরব

আগের সংবাদ

পাঁচ সিটিতে নির্ভার আ.লীগ : মেয়র পদে কোথাও শক্তিশালী প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় জয়ের সুবাস পাচ্ছেন নৌকার প্রার্থীরা

পরের সংবাদ

মেকআপে ত্বকতত্ত্ব

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টু মাচ অর টু লিটল। কোনোটাই সঠিক নয় প্রতিদিনকার পরিচর্যার পণ্য প্রয়োগে। তবে থাকতে হবে সমসাময়িক বিউটি ট্রেন্ডের সাথে। মেকআপের বৈচিত্র্যতা এখন নেটিজেনদের ফ্যাশনের সাথে পরিবর্তন হয়। রেট্রো, ক্ল্যাসিক, বাঙালিয়ানা, বলিউড, স্মোকি, উইন্টার, নো মেকআপ লুক, ডিউই গেøা মেকআপ, মোনোক্রোম্যাটিক, এয়ারব্রাশ, মিনারেল মেকআপ ট্রেন্ড, আরও কত-কী! আজকাল বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে নিজেই ঘরে বসে এই মেকআপ ট্রিকসগুলো শিখে নিচ্ছেন সবাই। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, পণ্যের প্যাকেজিংয়ে থাকা নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্র্যান্ডের রেকমেন্ডেশন এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সাদিকুর রহমান সাকিব

উজ্জ্বল রঙের ব্লাশঅন ব্যবহার
পুরো মেকআপে ভারী ভাব নিয়ে আসতে একটি উজ্জ্বল রঙের ব্লাশঅনই যথেষ্ট। দিনের পার্টি হোক বা রাতের, উইন্টার হোক বা সামার পার্টি মেকআপে উজ্জ্বল ব্লাশ ভালোই মানায়। এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডই বোল্ড পিচ বা পাঞ্চি পিংক কালারের ব্লাশগুলোতে অনেক শেড বাজারে এনেছে। মেকআপে ব্রাইট ব্লাশ দিয়ে অভিজাত লুক আনতে এই রঙের শেডগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
তবে, মেকআপ প্রডাক্ট কেনার সময় ত্বকরঙের দিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ, স্কিন টোনের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে হয় প্রসাধনের শেড। তা লিকুইড হোক কিংবা পাউডারি। এখানেই বড় চ্যালেঞ্জ। নিয়মিত ব্যবহার করা ব্র্যান্ডগুলোর বাইরের নতুন কোনো পণ্য প্রথমবার কেনার সময় শেডের হেরফের বেশি হয়।

ট্যান মেকআপ
রং ফর্সাকারি মেকআপের চেয়ে এখন ট্যান একটা লুক সবাই একবার হলেও মেকআপে ট্রাই করতে চান। বিশেষ করে কন্ট্যুর করার পর যে লুকটি পাওয়া যায়, সেই লুককেই ট্যান মনে হয়।
একেবারে ন্যাচারাল একটি লুক নিয়ে আসে এই মেকআপ। এই লুকের জন্য কয়েক ফোঁটা ট্যানিং সিরামের সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার মিক্স করে জো, নাক, চিক লাইনে অ্যাপ্লাই করে নিতে হবে। এর ওপর স্কিন টোনের সঙ্গে ম্যাচিং লুজ পাউডার দিয়ে ফিনিশিং টাচ দিয়ে কমপ্লিট করুন আপনার ট্যান মেকআপ লুক।

নো মেকআপ লুক
সাধারণ স্নিগ্ধ সাজে অনেককেই দেখতে সুন্দর লাগে। খুব একটা পরিশ্রম ছাড়াই ফ্ললেস লুক পেয়ে যাবেন এই নো মেকআপ লুকে। এই লুকের জন্য ফাউন্ডেশন যেন হালকা কাভারেজের হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ময়েশ্চারাইজের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিক্স করেও স্কিনে অ্যাপ্লাই করলে ভালো হয়। এর সঙ্গে হালকা শেডের ব্লাশঅন, হালকা আই মেকআপ, ক্রিম ফর্মুলার লিপস্টিক, চিকন করে আইলাইনার বা আইলাইনার ছাড়া শুধু মাসকারা দিয়েই কমপ্লিট করতে পারেন এই লুক।

মোনোক্রোম্যাটিক মেকআপ
গøসি হোক বা ম্যাট, ব্রাইট হোক বা হালকা কালার মুখে অল ওভার একটি রং দিয়ে মেকআপ সেরে নিতে পারবেন এই লুকে। আইশ্যাডো, ব্লাশঅন, লিপস্টিক এসব একই রঙের হওয়া চাই এই মেকআপ লুকের জন্য। সেই সঙ্গে নেইল কালার, ড্রেস ও জুতা বা স্যান্ডেলও একই রঙের হতে পারে। মিনিমাল মোনোক্রম, পারফেক্টলি পিচ, রোজি রাসবেরি, ওয়ার্ম নিউট্রালস, রেট্রো গø্যামস এ রকম অনেক লুকই নিতে পারেন মোনোক্রোম্যাটিক ক্যাটাগরিতে। ড্রামাটিক, লাউড মেকআপ লুকের জন্য এই মেকআপ একদম পারফেক্ট।
তবে, মেকআপ প্রডাক্ট কেনার সময় ত্বকরঙের দিকে নজর রাখা জরুরি।
কারণ, স্কিন টোনের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে হয় প্রসাধনের শেড। তা লিকুইড হোক কিংবা পাউডারি। এখানেই বড় চ্যালেঞ্জ। নিয়মিত ব্যবহার করা ব্র্যান্ডগুলোর বাইরের নতুন কোনো পণ্য প্রথমবার কেনার সময় শেডের হেরফের বেশি হয়।

ডিউই মেকআপ
ডিউই স্কিন লুকের জন্য হাইলাইটার ক্রিমস ও বামস। আর এই মেকআপ লুকের শুরুতে অবশ্যই ম্যাট প্রাইমার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তবে লিপস্টিকের ক্ষেত্রে আবার লিপ গøস ব্যবহার করাই শ্রেয়। চিক বোন, নাকের সামনের দিকে ঠোঁটের ওপর আলতো করে, থুতনিতে হালকা করে হাইলাইটার ক্রিম লাগিয়ে নেবেন।
ওভারঅল লুকে দেখবেন একটি গর্জিয়াস ভাব চলেই এসেছে।
ত্বকতত্ত্ব : বিশ্বজুড়ে পারফেক্ট স্কিন কেয়ার রুটিন না থাকলেও একদম বাঁধাধরা নিয়ম রয়েছে, ত্বকে কতটুকু পণ্য ব্যবহার করতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত পণ্যের ব্যবহারে যেমন লোমকূপ আটকে ব্রেকআউটের সমূহ আশঙ্কা তৈরি হয়, তেমনি প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্যের ব্যবহারে এর পুরোপুরি কার্যকারিতা মেলে না। এ ছাড়া অতিরিক্ত পণ্যের ব্যবহার মানেই অপচয়।
আর যাদের ধারণা, বেশি পণ্য ব্যবহারে হয়তো বেশি কাজ হবে কিংবা দ্রুত ফল মিলবে, তাদের আশার গুড়ে বালি। এতে শুধু দ্রুত ফুরাবে পণ্য, খালি হয়ে যাবে বোতল আর টিউব। লাভের লাভ কিছুই হবে না; বরং ওভার ইউজিংয়ের ফলে ত্বকের ওপর জমতে শুরু করবে।
এ ছাড়া অনেক বেশি অ্যাকটিভ প্রডাক্ট একসঙ্গে ব্যবহারের ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে অস্বস্তি, শুষ্কতা, লালচে ভাব; এমনকি কেমিক্যাল বার্নও হয়ে যেতে পারে। আর প্রয়োজনের তুলনায় পণ্যের কম ব্যবহারে যে কার্যকারিতার ঘাটতি হয়, তার বড় প্রমাণ সানস্ক্রিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে না মাখলেই বিপদ। ইউভি রে আর পরিবেশের দূষণ সহজেই বারোটা বাজিয়ে দেবে ত্বকের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়