টানা দাবদাহের পর সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি

আগের সংবাদ

প্রথম দিনের ঈদযাত্রায় স্বস্তি : কমলাপুরে নেই হুড়োহুড়ি, সড়ক মহাসড়কে নেই যানজট, নৌপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

পরের সংবাদ

ছোটদের পোশাকে নান্দনিকতার ছোঁয়া

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শরীফা বুলবুল : ঈদের পোশাকের রং, ডিজাইন কেমন হবে- এ নিয়ে যত ভাবনা থাকে ছোটদের। আর পরিবারের এই খুদে সদস্যের পোশাক নিয়ে তাই বাড়তি ভাবনায় থাকেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রতিবারই ছোটদের পোশাক কিনতে এসে অতিরিক্ত দাম গুনতে হয় অভিভাবকদের। এবারো এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে শিশুদের জন্য কেনাকাটা করতে আসা অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, ঈদ বাজারে এসব পোশাকেরই অতিরিক্ত মূল্য। কেনাকাটা করতে এসে দাম শুনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছোটদের পোশাকের দাম যেন লাগামহীন। তবুও নিরুপায় হয়ে বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন আভিভাবকরা।
মেয়ে শিশুদের ঈদের পোশাকে এবার এসেছে নতুন সব ধরন। শুধু ফ্রক নয় সঙ্গে সালোয়ার কামিজ, ঘাগরা-চোলি, শর্ট টপ, কাফতান, থ্রিপিস, জাম্প স্যুট, লেগিংস, পালাজ্জো, ধুতি স্টাইলের পায়জামাসহ আরো বেশ কিছু বৈচিত্র্য এসেছে। গরম বেশি থাকায় ছোট হাতার জামা আর ঢিলেঢালা থ্রি-কোয়ার্টার পায়জামার নিচের দিকে রয়েছে ছড়ানো কুচি।
ছেলে শিশুদের জন্য ছোট হাতার শার্ট, গেঞ্জি, ছোট ও মাঝারি প্যান্ট এবং এক রংয়ের প্যান্টের পাশাপাশি আছে ব্লিচ করা ডেনিম প্যান্ট। উৎসব ও আরামের কথা ভেবে এবার উজ্জ্বল ও হালকা দুই ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে। ছোট হাতার ক্যাজুয়াল শার্ট, ফতুয়া, পায়জামা-পাঞ্জাবি সবই পাওয়া যাচ্ছে সববারের মতোই। একরঙা পাঞ্জাবি ছাড়াও পাতলা খাদি কাপড়ে চেকের ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া অনেক পাঞ্জাবিতে রয়েছে বুকে ও হাতায় এমব্রয়ডারির পাতলা কাজ।
মেয়ে শিশুদের জন্য সুতি ও নেটের পোশাকের ওপর সুতা, পুঁতি বা সিকুইন কাজের বাহারি ডিজাইনের পোশাক মিলছে। পোশাকের মোটিফে থাকছে ফুলেল নকশা ও রূপকথার প্রাধান্য। তাছাড়া গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে লিনেন বা সুতির কাপড়ের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। জামদানি ও মসলিন কাপড় দিয়েও শিশুদের জন্য জামা, সালোয়ার কামিজ বিক্রি হচ্ছে ফ্যাশন হাউসগুলোয়।
ছেলেদের পোশাকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে সুতি। পাঞ্জাবিজুড়ে এমব্রয়ডারি ছাড়াও নতুনত্ব আনতে বুকের একপাশে অল্প করে কাজ করা হয়েছে। দেশীদশ, শৈশব, ক্লাব হাউস, শৈশব, লা রিভ, সারা লাইফস্টাইল, সেইলরসহ আরো বেশ কিছু ফ্যাশন হাউস সেজেছে শিশুদের ঈদের পোশাকে। কিন্তু এসব পোশাকের আকাশছোঁয়া দামে ক্রেতারা বিপাকে পড়ছেন। এ নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।
কথা হয় সেন্টার পয়েন্ট শপিং মলে ঈদ বাজার করতে আসা সরকারি কর্মকর্তা সানজিদা ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদ তো শিশুদের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। তাদের আবদার না মেটাতে পারলে আসলে ঈদ আর ঈদ থাকবে না কিন্তু দাম শুনে পড়ে যাই বিপাকে। ছোট্ট একটা পোশাকের দাম এত কেন হবে? তা মাথায়ই আসে না।
মাহবুব হাসান নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, শুধু কাঁচাবাজার মনিটরিং করলে চলবে না। এদিকেও চোখ দিতে হবে। পোশাক বিক্রেতারা রীতিমতো আগ্রাসন চালাচ্ছে। সামান্য ৩ বছরের বাচ্চার পোশাকের দাম ১২শ টাকা কী করে হয়? এতে কতটুকুইবা কাপড় লাগে?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই মার্কেটের এক দোকান মালিক বলেন, ঈদে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়তি থাকেই। তাছাড়া এবার সবকিছুর মূল্য অনেক বেশি। আমরা কিনে আনছি চড়া মূল্যে। এরপর আমাদের লাভ, কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, অন্যান্য খরচ তো আছেই। এটুকু লাভ না রাখলে আমরাও অচল হয়ে যাব। এর ওপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ধস তো আছেই।
কোথায় মিলবে, কেমন দাম : শিশুদের জন্য ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন ও মোটিফের পোশাক নিয়ে এসেছে ফ্যাশন হাউস ও ব্র্যান্ডগুলো। দেশীদশ, ইনফিনিটি, লা রিভ, খুঁত, শৈশব, আজিজ মার্কেট, ইয়োলো, টুয়েলভ, সেইলর, ক্লাব হাউসসহ অনেক

. স্থানেই মিলবে শিশুর পোশাক। এসবের দাম শুরু হয়েছে ৬০০ টাকা থেকে। পার্টি ফ্রকের দাম পড়বে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। থ্রিপিস দেড় হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, টুপিস ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। স্কার্ট, ঘাগরা-চোলি ও আনারকলির দাম দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ছেলে শিশুদের পাঞ্জাবির দাম ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। টি-শার্টের দাম ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। শার্ট কেনা যাবে ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়