টানা দাবদাহের পর সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি

আগের সংবাদ

প্রথম দিনের ঈদযাত্রায় স্বস্তি : কমলাপুরে নেই হুড়োহুড়ি, সড়ক মহাসড়কে নেই যানজট, নৌপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ

পরের সংবাদ

খুনিদের রক্ষায় দ্বিধাহীন আমেরিকার পছন্দ এবং বাংলাদেশের করণীয়

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছে! ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং ১৯৭১-এ গণহত্যার কুশীলবদের সমর্থকগোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্রয়-প্রশ্রয় অতীতে পেয়েছে এবং এখনো পাচ্ছে। বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষমতাধর এই রাষ্ট্রটি বঙ্গবন্ধু হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে নাগরিকত্বসহ আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে। এতে আমেরিকার পছন্দের অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আহ্লাদিত হয়ে আরো অপরাধ কর্মে প্রবৃত্ত হতে উৎসাহ বোধ করছে। অতীতে আমেরিকার পছন্দের শাসকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ১৯৫৮-১৯৬৯ পর্যন্ত সময়ব্যাপী (পূর্ব) বাঙালিদের অধিকারহরণকারী, তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক-স্বৈরশাসক আইয়ুব খান। আমেরিকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন, পলিটিক্যাল অর্ডার ইন চেঞ্জিং সোসাইটিস (১৯৬৮) শীর্ষক ক্লাসিক গ্রন্থে সামরিক শাসক আইয়ুবকে ‘আধুনিকায়নকারী’ এবং ‘শৃঙ্খলা বা অর্ডার আনার একটি ক্লাসিক উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সমর্থন করেছিলেন। আর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা আমেরিকার পছন্দের সেই শাসককে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন।
আইয়ুবের বিদায়ের পর ১৯৬৯-১৯৭১ পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন আমেরিকার আরেক পছন্দের সামরিক-স্বৈরশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান। বালুচিস্তানের কসাইখ্যাত জেনারেল টিক্কা খান, লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী প্রমুখও ছিল আমেরিকার পছন্দের জেনারেল। বোধ করি, (পূর্ব) বাঙালিদের ওপর ধর্মীয় ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ, বাঙালির হাজার বছরের কাক্সিক্ষত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সময় থেকেই ধীরে ধীরে আমেরিকার টার্গেটে পরিণত হচ্ছিলেন! অর্থাৎ কোনো নেতা বা তার দেশ যদি নিজ দেশের জনগণের সঠিক প্রয়োজন এবং সেসবের জন্য করণীয় অনুসারে কাজ করেন তা হলেই তিনি অবধারিতভাবেই আমেরিকার বিরাগভাজন অপছন্দের হয়ে উঠবেন! ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দিচ্ছে! আমেরিকার পছন্দ অনুযায়ী চললে তো আমরা স্বাধীন স্বদেশই পেতাম না! পাকিস্তানের সমর্থনে এহন কাজ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালে করেনি। অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান এবং সর্বোপরি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য সপ্তম নৌবহর প্রেরণ! স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী নৌ টাস্কফোর্স প্রেরণ করেছিল যাতে ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখা যায়। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আমেরিকান নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার অজুহাতে, নিক্সন পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী এন্টারপ্রাইজের নেতৃত্বে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের টাস্কফোর্স ৭৪-কে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার এ কাজে নিক্সনকে উৎসাহিত করেছিলেন।
নিক্সনের তাড়াহুড়োমূলক পদক্ষেপ ভারতে আমেরিকার সর্বশ্রেষ্ঠ জনসংযোগ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জন্য লেজে-গোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। এক লাখের বেশি পাকিস্তানি সৈন্য আটকা পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমেরিকার পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ এবং প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার ফলে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের বিজয় সূচিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমেরিকার পছন্দের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে ‘আত্মসমর্পণে’ বাধ্য হয়েছিল। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৭ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র আমেরিকার ছত্রছায়ায় থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল (!), আমেরিকার জন্য এই লজ্জা ও অপমান মেনে নেয়া ছিল অসম্ভব! আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির কথা বলি তখন শুধু পাকিস্তান এবং তাদের বাংলাদেশি দোসরদের পরাজয়ের কথাটি সামনে আসে। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠভাবে চিন্তা করলে ১৯৭১ সালের বাঙালিদের বিজয় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়। আর এই কারণেই এত এত শক্তি থাকা সত্ত্বেও এই পরাজয়ের গøানি আমেরিকার তৎকালীন সরকার সহ্য করতে পারেনি। পরাজিত, ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে অপমান করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলেন! বাংলাদেশকে তখন তিনি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন! রক্তের সাগর পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন স্বাধীন স্বদেশ পুনর্গঠনে নিয়োজিত ছিল তখনই এই মন্তব্যে দেশপ্রেমিক প্রতিটি বাঙালিই দুঃখ পেয়েছিল। কিন্তু লক্ষ করলে দেখা যাবে হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ এই মন্তব্যে তখনো তাদের পছন্দের বাংলাদেশবাসী আহ্লাদিত হয়েছিল। সত্যি, কী বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের সঙ্গে আমাদের বসবাস করতে হয়! আমেরিকার আদরে আহ্লাদিত পাকিস্তান যখন একাত্তরে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে, তখন বাংলাদেশে বসবাসকারী কুলাঙ্গার অথচ আমেরিকার পছন্দের বাংলাভাষী গোষ্ঠী খুশি মনেই পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছে। এতসব করেও বঙ্গবন্ধুর বাঙালিদের আমেরিকা ‘দাবায়ে রাখতে’ পারেনি। আর তারই প্রতিশোধ তারা নিয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকারপ্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। এরপরে এ দেশে অবাধে বিচরণ করেছে আমেরিকার পছন্দের খুনিরা। খুনি প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিচার স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্য খুনি খোন্দকার মোশতাক ঘোষণা করেছিল ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’। আর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে জাতীয় সংসদে পাস করে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত পবিত্র সংবিধানকে কলুষিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ছোট বোন শেখ রেহানা যাতে দেশে ফিরতে না পারে তার সব ব্যবস্থা জিয়াউর রহমান করেছিলেন। এমনকি শত বাধাবিপত্তি পেরিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত পৈতৃক বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি করেছিল জিয়াউর রহমান। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশকে এখন একটা মর্যাদাশীল অবস্থানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আবার শুরু হয়েছে আমেরিকা ও তার পছন্দের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র। তবে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতারা আমেরিকার এই খবরদারি পুনর্মূল্যায়ন করা শুরু করেছে।
স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তথাকথিত উন্নত গণতন্ত্রের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সমগ্র বিশ্বে এখন পুনর্মূল্যায়িত হওয়া শুরু হয়েছে। যা সচরাচর এর আগে হতে দেখা যায়নি! সম্প্রতি হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন ধনকুবের এবং আমেরিকার ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অন্যতম একজন দাতা জর্জ সোরোসের (জন্ম আগস্ট ১২, ১৯৩০-) একটি মন্তব্য সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পর্যবেক্ষণ এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে প্রণিধানযোগ্য। জর্জ সোরোস সম্পর্কে এস জয়শঙ্করের মন্তব্যটিকে আমরা প্যারাফ্রেস বা শব্দান্তর করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকার সাম্প্রতিক অতি বাড়াবাড়ি রকমের নাক গলানোর বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে পারি। ‘আমেরিকা প্রভাবশালী, ধনী, মতবিশিষ্ট একটি বৃহৎ শক্তি, যে এখনো মনে করে যে সমগ্র বিশ্ব কীভাবে কাজ করবে তা তাদের মতামত দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। তবে কেবল প্রভাবশালী, ধনী এবং মতবাদে থেমে যাওয়া হয় তা হলে বিষয়টি পুরোপুরিভাবে বোঝা যাবে না। বলতে হবে, আমেরিকা প্রভাবশালী, ধনী, মতামতযুক্ত এবং বিপজ্জনক। এই সঙ্গে আরো বলতে হয়, আমেরিকা আসলে আখ্যান বা ন্যারেটিভ তৈরির জন্য সম্পদ বিনিয়োগ করে। এই রাষ্ট্রটি মনে করে যে একটি নির্বাচন ভালো, যদি তারা যাকে দেখতে চায় সে-ই জয়লাভ করে! আর নির্বাচন যদি ভিন্ন ফলাফল দেয় তবে তারা বলবে এটি একটি ত্রæটিপূর্ণ গণতন্ত্র! আর আমেরিকা এসব করছে তথাকথিত গণতন্ত্র ও উন্মুক্ত সমাজের সমর্থনের ছলে বা ছদ্মাবরণে…।’
আমেরিকা গণতন্ত্রের জ্ঞান দিয়ে থাকে। কথায় কথায় ডেমোক্র্যাসি ও হিউম্যান রাইটসের কথা বলে। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক দিয়ে আমেরিকার অবস্থান বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে। এর ভূরি ভূরি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি অঙ্গরাজ্যের তিনজন সদস্য বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তার মধ্য থেকে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ সদস্যকে বহিষ্কার করেছে সেখানের প্রতিনিধি সভা। বর্ণ বৈষম্যের অনুসারী মার্কিনিরা শ্বেতাঙ্গ অপর সদস্যকে বহিষ্কার করেনি। অর্থাৎ আমেরিকার নিজ দেশের মধ্যেই গণতন্ত্রের ব্যাপক ঘাটতি আছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয় : ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাক্সক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারগুলো পূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করব, গড়ে তুলব আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলনমূলক প্রস্তাবের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা এবং প্রস্তাবটি সমর্থন করার জন্য জাতীয় সংসদের উপস্থিত সব সম্মানিত সদস্যের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ জানাই।

ড. অরুণ কুমার গোস্বামী : সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়