ঢাকার চার শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা বহুতল ভবনে বেশি

আগের সংবাদ

রাজধানীতে কয়েক শ মার্কেট ভবন বিভিন্ন মাত্রায় অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করার দায়িত্ব কার?

পরের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের গুলি যুবক নিহত

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার বুক গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ফয়সাল উপজেলার কুট্টাপাড়ার রাকিব মিয়ার ছেলে। তার পরিবারের দাবি, ফয়সাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। অপরদিকে পুলিশের দাবি, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্পিøন্টারের আঘাতে নিহত হন তিনি।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে রিকশার ধাক্কা লাগা নিয়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের ইকবাল চৌকিদারের ছেলে আকাশের সঙ্গে একই ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে আকাশের লোকজন শুক্রবার দুপুরে সুমনের ওপর হামলা করে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে ইকবাল চৌকিদার ও সূর্যকান্দি গ্রামের দুলালের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২১ জন আহত হন। ওই সময় ফয়সাল মারা যান।
নিহত ফয়সালের মামা ওসমান বলেন, ‘ফয়সালের বাড়ি কুট্টাপাড়ায় হলেও আমাদের দোকানে থাকত। আজ সংঘর্ষ শুরুর পর আমরা দোকানে তালা লাগাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমার ভাগনের ওপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সঙ্গে জড়িতও না? এর বিচার চাই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ৪-৫ জনকে আটকসহ ১০টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষের সময় ককটেলের স্পিøন্টারের আঘাতে ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়