ঢাকার চার শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা বহুতল ভবনে বেশি

আগের সংবাদ

রাজধানীতে কয়েক শ মার্কেট ভবন বিভিন্ন মাত্রায় অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করার দায়িত্ব কার?

পরের সংবাদ

পাঞ্জাবি সালোয়ার কামিজে রঙিন ঈদ…

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ডিজাইনাররা বলে থাকেন, সারা বছর আমরা যত কাজ করি তার সিংহভাগ এই ঈদকে কেন্দ্র করেই। কাজেই নতুন ট্রেন্ড ঈদের পোশাকেই অনেক বেশি লক্ষণীয়। ঈদের পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো রং নেই। যেহেতু ধরাবাঁধা কিছু নেই, তাই ডিজাইনাররা ইচ্ছেমতো রং নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবু একেক ঈদে দেখা যায় কিছু রং দখল করেই আছে ঈদের পোশাকের ক্যানভাস। তবে নিরীক্ষা চলে পোশাকের নকশা, মোটিফ, কাটিং এবং অন্য কিছু ক্ষেত্রে।

শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী

উদ্যোক্তা, জেন্টল পার্ক

পাঞ্জাবি
উৎসবের দিনের সাজটা একটু ভিন্ন হবে, এমন চাওয়া থাকে সবারই, সঙ্গে চাই আরাম। এত চাওয়া একসঙ্গে পূরণের জন্য এখন ছেলেদের পোশাকের কাট এবং রং নিয়েও ডিজাইনাররা অনেক ধরনের কাজ করে থাকেন। অনেকে আবার শুধু চলতি ধারায় গা ভাসাতে নারাজ। তারা চান ঐতিহ্য ও আধুনিকতাকে একসঙ্গে ধারণ করতে। তাদের জন্য সোজা কাটের একরঙা পাঞ্জাবিতে শুধু বুকে হালকা কাজ হলে হবে না; চাই কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে একটি পছন্দের পরিধেয়।
একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, কয়েক দশক ধরে ব্যান্ড কলারের পাঞ্জাবিই আমাদের দেশে জনপ্রিয়। আর তাই কলারেই সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। কয়েক বছর ধরে চলতি ধারায় কলার আর কাফ বা হাতায় নকশা করা একরঙা পাঞ্জাবি রয়েছে। কলার আর কাফের এই নকশারও রয়েছে রকমফের। এমব্রয়ডারি, জারদৌসি থেকে শুরু করে কাঁথাস্টিচ, কারুকাজও দেখা যায়। এ ছাড়া ভেলভেট বা ভিন্ন ধরনের ছাপা নকশার কাপড়ও জুড়ে দেওয়া হয় গলার নকশায় আর কাফে। ভিন্ন নকশার পাঞ্জাবি দিয়ে স্টাইল স্টেটমেন্টে নিজস্বতাও আনা যায়। যেমন কলারবিহীন বা গোলগলা, স্যাট কলার, কাবলি, হাইনেক, শাহি কলার পাঞ্জাবিও রয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ঈদ সংগ্রহে। একসময় কলারবিহীন বা গোলগলা সাদা পাঞ্জাবিই ছিল ফ্যাশন, যা আবার ফিরে আসছে। তবে রঙে এসেছে পরিবর্তন। সাদার জায়গা দখল করেছে কমলা, হলুদ, গোলাপি, নীল, বেগুনির হালকা শেড। গরমে হালকা রঙের গোলগলা এই পাঞ্জাবিও যে কারও ঈদ লুকে আনবে ভিন্নতা।
ঈাশাপাশি কিছু ডিজাইনার ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড আরও কম দৈর্ঘ্যের পাঞ্জাবিও রেখেছে তাদের ঈদ সংগ্রহে। কাপড় নির্বাচন করা হয়েছে পরিবেশ, আবহাওয়া ও আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে।

সালোয়ার কামিজ
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশনের অংশ হয়ে উঠেছে সালোয়ার-কামিজ। চট করে পরে নেওয়া যায়। বৈশাখ মাস চলছে। চারদিকে ভ্যাপসা গরম। তাই সবাই হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন আরামদায়ক পোশাক। তাই সালোয়ার-কামিজও তৈরি হচ্ছে এমন সব কাপড়ে, যা পরে আরাম পাবেন। এর মধ্যে প্রথমে আসে সুতি কাপড়। সালোয়ার-কামিজ কিংবা টুপিস, রোজকার পোশাক হিসেবে পরতে বেশ আরাম। ধোয়াও সহজ। জাঁকজমকপূর্ণ নয় বলে উৎসবের পোশাক হিসেবে এর বিশেষ কদর নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় সিল্ক্ক এবং জর্জেট। সিল্ক চকচকে হওয়ায় শাড়ি হোক বা কামিজ সব ক্ষেত্রেই কদরের আবদারটুকু রেখে থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে জর্জেট। এ ছাড়াও রয়েছে লিনেন এবং সামু সিল্ক।
সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে কামিজের কাটিং, হাতার ডিজাইন, গলার ডিজাইন, নকশার মোটিফ, কাজের মাধ্যম ইত্যাদির পরিবর্তন দেখা যায়। তবে গত এক দশকে মেয়েদের সালোয়ারের ডিজাইনে অনেক বেশি বৈচিত্র্য দেখা গেছে। কখনো চাপা সালোয়ার তো কখনো ঢিলেঢালা। আবার চুড়িদার, চোস্ত, সারারা, লেগিংস, জেগিংস এবং হালের প্লাজো।
করোনা মহামারির কারণে বছর তিনেক ঈদবাজারে খুব একটা শোরগোল দেখা যায়নি। এবার তার ব্যতিক্রম। ইতিমধ্যেই জমে গেছে ঈদবাজার। করোনার কারণে ২০২০ বা ২০২১ এ ফ্যাশনে খুব একটা নতুন ধারা যুক্ত হতে দেখা যায়নি। ২০২২ সালে পোশাকের নকশায় কিছুটা নতুনত্ব দেখা গিয়েছিল। ২০২৩ সালে এসে প্রতিটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডই তাদের পোশাকে তুলে ধরেছে নতুন ধারা।

পোশাক ও ছবি : জেন্টল পার্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়