ঢাকার চার শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা বহুতল ভবনে বেশি

আগের সংবাদ

রাজধানীতে কয়েক শ মার্কেট ভবন বিভিন্ন মাত্রায় অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করার দায়িত্ব কার?

পরের সংবাদ

গোমস্তাপুরে প্রচণ্ড তাপদাহে ঝরছে আমের গুঁটি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : তীব্র খরায় তাপদাহে পুড়ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়নি। টানা বৃষ্টিহীনতা আর খরায় উপজেলায় আমের গুঁটি ব্যাপক হারে ঝড়ে পড়ছে। একদিকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আম গাছে মুকুলও নষ্ট হয়েছিল ব্যাপক হারে। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে গুঁটি ঝড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আম চাষি ও বাগান মালিকরা।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোমস্তাপুরে প্রায় ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৫৫০টি ছোট বড় আম বাগানে প্রায় ৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০টি আম গাছ রয়েছে। ফজলি, আশিনা, লখনা, হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগসহ প্রায় ২২ এর অধিক জাতের আম চাষ হয়ে থাকে এ অঞ্চলে।
গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকাসহ ৮টি ইউনিয়নে প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে আম গাছ বা আম বাগান। এছাড়া উপজেলাজুড়েই রয়েছে উন্নত জাতের আম গাছ ও আম বাগান। বর্তমানে এসব এলাকায় আম গাছের নিচে পড়ে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য আমের গুঁটি।
উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের আম চাষি মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, আমার এলাকায় ছোট বড় আমের বাগানগুলোতে খরার কারণে আমের গুঁটি ঝরে পড়ছে। এরপরও বৃষ্টি হচ্ছে না। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাগানের গাছগুলোতে তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝরে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা বাগান মালিকরা।
বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আমচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র খরার কারণে আমের গুঁটি ব্যাপক হারে ঝড়ে পড়ছে। ফলে অনেক গাছে অর্ধেক আমও নেই। আম গাছে সেচ কীটনাশক মিশ্রণ স্প্রে করেও গুঁটি ঠেকানো যাচ্ছে না। এ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আমার অনেক আম বাগান কিনা রয়েছে। যদি এমনভাবে আম ঝরা অব্যাহত থাকে আর বৃষ্টি না হয় তা হলে আমাকে অনেক টাকা লোকসান দিতে হবে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, খরার কারণে আমের গুঁটি ঝরে যাচ্ছে। তবে আমচাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি গাছের সেচ দেওয়াসহ ছত্রাকনাশক ঔষুধ স্প্রে করার জন্য। আমাদের উপসহকারীরা আম রক্ষার্থে এক সপ্তাহ পর পর বাগান মালিক ও চাষিদের কাছে গিয়ে আমের গাছে বেশি বেশি পানি সেচ দিতে এবং ছত্রাকনাশক ও বোরন স্প্রে করতে বলে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গত বছরের তুলনায় আমের গুঁটি ভালো রয়েছে। কিন্তু তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুঁটি ঝরে যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু জাতের নিদিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত আম ঝরানোর জন্য এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে থাকে ফলে গুঁটি ঝরে যায়। তবে খরা ও প্রাকৃতিক কারণে স্বাভাবিকভাবেই কিছু কিছু আমের গুঁটি ঝড়ে এতে আম চাষিদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রাকৃতিক কোনো বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়