শিক্ষকদের দাবি ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা

আগের সংবাদ

এসডিজির পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ : করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, লক্ষ্য অর্জনে কৌশলী সরকার

পরের সংবাদ

ভোকা সাংবাদিকের ওপর জেলা পরিষদ সদস্যের হামলা : আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর থেকে : জামালপুরের বকশিগঞ্জে জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার ও তার সহযোগীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম রনি। গতকাল রবিবার বেলা একটার দিকে বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রনি জানান, সম্প্রতি উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক ছোট একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ভোরের কাগজে সংবাদ করি। এরপর থেকে চেয়ারম্যান ও তার সমর্র্থকদের সঙ্গে আমার মনোমিলন্য চলে আসছিল। জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার চেয়ারম্যান সিদ্দিকের সমর্থক এবং ঘনিষ্ঠজন।
সাংবাদিক রনি আরো বলেন, রবিবার দুপুরে আমি উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থানের সময় জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ারের ডাকে আমি উপজেলা পরিষদের সামনে গেলে শিলা সরোয়ার, তার গাড়ির ড্রাইভার ও বডিগার্ড আমাকে মারধর করেন। এরপর তারা আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেন এবং আমার মোবাইল ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে যান। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
সাংবাদিক রনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। এখনো চিকিৎসাধীন আছি। এ জন্য এখনই মামলা করতে পারছি না। তবে আমি খুব দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আমি আমার ওপর হামলাকারীদের বিচার চাই।
এসব বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিক রনিকে মারধর করা হয় নাই। একটা পিকনিকে আমি গান গেয়েছিলাম। সেই গানটি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছে সাংবাদিক রনি।
এরপরই তিনি কথা বলার জন্য বকশিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের কাছে দেন। মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, আমাদের একটি পিকনিকে গান গেয়েছিল শিলা সরোয়ার আর সেই গানে কিছুটা নেচেছিল চেয়ারম্যান সিদ্দিক। সেই গানটি বিকৃত করে রবিবার সকালে ফেসবুকে ছাড়েন সাংবাদিক রনি। এরপর শিলা সরোয়ার সাংবাদিক রনিকে উপজেলায় দেখতে পেয়ে আমার কাছে আনার জন্য টানা-হেচড়া করেন। এ সময় তার ড্রাইভার ও বডিগার্ডও টানা হেচড়া করে। এতে সাংবাদিক রনির হাত ও পায়ের কিছু জায়গা ছিলে যায়। এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।
এসব বিষযে বকশিগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়