প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
সারা আলি খানের সৎমায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলেন চিত্রাঙ্গদা সিংহ। এমনিতেই তিনি জনপ্রিয় মুখ। হঠাৎ বয়সে অল্প ছোট একজন অভিনেত্রীর মায়ের চরিত্রে কেন রাজি হলেন তিনি? বিষয়টি খোলসা করলেন চিত্রাঙ্গদা। ২০১১ সালে ‘ইয়ে সালি জিন্দেগি’ ছবি দিয়ে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ক্রাইম থ্রিলার ‘বব বিশ্বাস’-এ ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করেন ২০২১ সালে। তবে বয়স্ক মহিলার চরিত্রেই তাকে বরাবর ভাবা হয়েছে। দুই বাচ্চার মা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সি গৃহবধূ, সব ধরনের চরিত্রই করেছেন। ২০২২ সালে ‘মডার্ন লভ মুম্বাই’ নামক একটি কোলাজ-ছবিতে ‘কাটিং চা’-এ নজর কেড়েছিলেন চিত্রাঙ্গদা। তার পর আবার তাকে দেখা যাবে খুন-রহস্য ভরা ‘গ্যাসলাইট’ ছবিতে। ৩১ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ‘গ্যাসলাইট’। সেখানেই সারার সৎমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রাঙ্গদা। প্রথম সারির কোনো অভিনেত্রী বয়সে সামান্য ছোট কারো মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন, এমন ঘটনা বাড়তি নজর টেনে নেয়। তবে চিত্রাঙ্গদা এই প্রথম মায়ের চরিত্র করছেন না পর্দায়। অভিনয়ের ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকেই বয়স্ক চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। চিত্রাঙ্গদা বললেন, “আমি ‘নেমসেক’ (২০০৬) ছবির জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। ২৪ বছর বয়সি একজনের মায়ের চরিত্র করতে গেলে যা যা করতে হয়, সব করেছিলাম। কিন্তু শেষ অবধি সেগুলো কাজে আসেনি। আমি খুবই আগ্রহী ছিলাম চরিত্রটা করতে।” ইরফান খানের বিপরীতে শেষমেশ সেই চরিত্রটি করেন টাব্বু। চিত্রাঙ্গদা বলেন, ‘পরিচালক মীরা নায়ার আমাকে নিউইয়র্ক থেকে ফোন করেন। বোঝান, আমি খারাপ অভিনেত্রী বলে বা অডিশন খারাপ দিয়েছি বলে নির্বাচিত হইনি, তা নয়। আসলে আমাকে ২৩-২৪ বছরের সন্তানের মায়ের মতো দেখাচ্ছে না।’ ‘গ্যাসলাইট’-এ সারার মায়ের চরিত্র করা প্রসঙ্গেও অকপট তিনি। ছেচল্লিশ বছর বয়সি অভিনেত্রী বলেন, “মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলে অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, এমনটা ভাবা হতো এক সময়। আমি এই চরিত্রটা করতে চেয়েছি, কারণ চরিত্রটাই দুর্দান্ত। এখানে সারার মা বা ‘বব বিশ্বাস’- এ দুই সন্তানের মায়ের চরিত্র করা বড় কথা নয়। সেই সময়টা চলে গিয়েছে, যখন এগুলো তফাত গড়ে দিত। এখন আমরা এগুলোর ঊর্ধ্বে।” সারার সঙ্গে এই প্রথম কাজ করলেও সারার বাবা অভিনেতা সাইফ আলি খানের সঙ্গে আগেই কাজ করেছেন চিত্রাঙ্গদা। তিনি জানান, সারার সঙ্গে তো হাসিঠাট্টার সম্পর্ক। তবে সাইফের সঙ্গে কাজ করতেও ভালো লাগত। চিত্রাঙ্গদার কথায়, ‘ওর শট দেয়া দেখলে মনে হতো, কত অনায়াসে শট দিচ্ছে, কিন্তু তার মধ্যেও ভাবনার ছাপ থাকত। ওর সঙ্গে কাজ করার দিনগুলো খুবই উপভোগ করেছি।’ সারার সঙ্গে চিত্রাঙ্গদার রসায়ন কেমন জমে, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।
:: মেলা ডেস্ক
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।